সূরা আল-মূলকের বাংলা আরবি উচ্চারণ, বাংলা অনুবাদ, আরবি অডিও এবং ভিডিও ।

  বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম - পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।

মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআনের ৬৭ তম সূরা হচ্ছে সূরা মূলক ( Surah mulk ) । আরবি ভাষায় মূলক শব্দের অর্থ হল সার্বভৌম ক্ষমতা ( Sovereignty ) । সূরাটির আয়াত সংখ্যা ৩০ টি এবং রুকু সংখ্যা ২ । সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয় তাই এটি মাক্কী সূরার শ্রেণীভুক্ত । এই সূরাটিতে প্রথমে আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে এবং মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে । এই  সূরাটির প্রথম আয়াতের َبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ বাক্যাংশের تالْمُلْكُ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে ।

আরো পড়ুনঃ- সুমধুর কন্ঠে সূরা আর-রহমান আরবী উচ্চারণ, বাংলাঅর্থসহ । সূরা আর-রহমানের ফজিলত ।

এই সূরাটিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তি নিজের ইচ্ছা অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না বরং কেবল তাকে গাইড করতে পারে এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে ।


পেইজ সূচিপত্র ( সূরা আল-মূলক -Surah Mulk Bangla )

সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

১। তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল  মূলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর ।

২। আল্লাযী খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলু-ওয়াকুম  আইয়ুকুম আহছানু ‘আমালাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আঝীঝুল গাফূর ।

৩। আল্লাযী খালাকা ছাব ‘আ-ছামা-ওয়া-তিন তিরা-কান মা-তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি ‘ইল বাসারা হাল তারা-মিন ফুতূর ।

৪। ছু ম্মার জি’ ইলবাসারা কারবাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকান বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর।

৫। ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া - বিমাসা - বীহা ওয়াজ’ তাদনা-লাহুম ‘আযা - বাছ্ছা’ ঈর ।

৬। ওয়া ‍ লিল্লাযীনা কাফারূরিরা ব্বিহিম ‘আযা -বুজ - হান্নামা ওয়াবি’ ছাল মাসীর ।

৭। ইযাউলকূফীহা - ছামি’ উ-লাহা - শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া তাফূর ।

আরো পড়ুনঃ- সূরা ফাতিহার আরবী উচ্চারণ, বাংলা অর্থ, অনুবাদ, বৈশিষ্ট্য, সূরা-ফাতিহার ফজিলত ।

৮। তাকা - দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা - ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’ তিকুম নাযীর ।

৯। কা- লূবালা - কাদ জাআনা - নাযীরুন ফাকাযযাবনা - ওয়া কুলনা - মানাঝঝালাল্লা-হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা - লিন কাবীর ।

১০। ওয়া কা-লূলাও কুন্না - নাছমা’ উ-আও না’ কিলুমা- কুন্না-ফীআসহা - বিছ্ছা’ ঈর ।

১১। ফ’ তারাফূবিযামবিহিম ফাছুহক্বললিআসহা - বিছ ছা’ ঈর ।

১২। ইন্নাল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর ।

১৩। ওয়া আছিররূকাওলাকুম আবিজহারূবিহী ইন্নাহূ’ আলীমুম বিযা-তিসসুদূর।

১৪। আলা-ইয়া’ লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর ।

১৫। হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা যালূলান ফামশূফী মানা-কিবিহা - ওয়া কুলূমির রিঝকিহী ওয়া ইলাইহিন নুশূর ।

১৬। আ-আমিনতুম মান ফিছ্ছমাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইয়া-হিয়া তামূর।

১৭। আম আমিনতুম মান ফিছ্ছমাই আইঁ ইউরছিলা‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা’ লামূনা কাইফা নাযীর। 

১৮। ওয়া লাকাদ কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা-না নাকীর।

১৯। আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইবি ফাত্তাকাহুম সাফফা=তিতঁ ওয়াইয়াকবিন। মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহলা-নু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম বাসীর । 

২০। আম্মান হা - যাল্লাযী হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ান সুরুকুম মিন দূ নিররাহমা-নি ইনিল কাফিরুনা ইল্লা ফী শুরূর।

২১। আম্মান হা-যাল্লাযী ইয়ারঝকুকুম ইন আমছাকা রিঝকাহূ বাল্লাজ্জূফী ‘উতুওবিওয়া নুফূর ।

২২। আফামাইঁ ইয়ামশী মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহী আহাদা আম্মাইঁ ইয়ামশী ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকীম।

২৩। কুল হুওয়াল্লাযীআনশাআকুম ওয়া জা ‘আলা লাকুমুছছাম ‘আওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন।

২৪। কুল হুওয়াল্লাযী যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন ।

২৫। ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া’দুইন কুনতুম সা-দিকীন।

২৬। কুল ইন্নামাল ‘ইলমু’ ইনদাল্লা-হি ওয়া ইন্নামা আনা নাযীরুম মুবীন ।

আরো পড়ুনঃ- সূরা ইখলাসের অর্থ, বাংলা অনুবাদ এবং ফজিলত এবং কোন সময় পাঠ করলে সকল দোয়া কবুল হবে ।

২৭। ফালাম্মা-রাআওহু ঝুলফাতান ছীআত ঊজূহুল্লাযীন কাফারূওয়া কীলা হু-যাল্লাযী কুনতুম বিহী তাদ্দা’ ঊন।

২৮। কুল আরাআইতুম ইন-আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা - ফামাইঁ ইউজীরুল কা-ফিরীনা মিন ‘আযা-বিন-আলীম।

২৯। কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহী ওয়া’ আলাইহি তাওয়াক্বালনা- ফাছাতা’ লামূনা মান হুওয়া ফী দালা-লিম মুবীন ।

৩০। কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওবান ফামাইঁ’তীকুম বিমাইম মা’ঈন।

সূরা মূলক এর বাংলা অর্থ ( Surah Mulk Bangla Ortho )

পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি ।

১। অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব ও রাজত্ব যার হাতে, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

২। যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদের কে পরীক্ষা করতে পারবেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম, আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল ।

৩। যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোনো আসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না । তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোনো ক্রটি দেখতে পাও কি ?

৪। অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে । 

৫। আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপ মালা দ্বারা এবং ওগুলিকে করেছি শাইতানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।

৬। আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি, এবং তা কত মন্দ ফিরে যাওয়ার স্থান।

৭। যখন তারা তাতে নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তারা জাহান্নামের গর্জন শুনবে,আর তা উদ্বেলিত হবে ।

৮। ক্রোধে আক্রোশে জাহান্নাম ফেটে পড়ার উপক্রম হবে। যখনই কোন দলকে তাতে ফেলা হবে তখন তার রক্ষীরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে, তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আসেনি?

৯। তারা বলবেঃ অবশ্যই আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল, আমরা তাকে মিথাবাদী গন্য করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ কিছুই অবর্তীণ করেননি, তোমরাতো মহা বিভ্রান্তিতে রয়েছে।

১০। আর তারা বলবে, যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের, অধিবাসীদের মধ্যে থাকতাম না।

আরো পড়ুনঃ- ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর কার্যকরী উপায়! 

১১। অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকারা করবে । সুতরাং ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের জন্য।

১২। যারা তাদের প্রতিপালকে না দেখেই ভয় করে তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহা পুরস্কার ।

১৩। তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনিতো অন্তর্যামী।

১৪। যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবগত।

১৫। তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে প্রান্তরে বিচরণ কর এবং আল্লাহর দয়া রিযক হতে আহার কর, পুনরায় জীবিত হয়ে তার কাছেই যেতে হবে।

১৬। তোমরা কি নিশ্চিত আছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন, তিনি তোমাদেরকে সহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? আর ওটা আকস্মিকভাবে কেঁপে উঠবে।

১৭। ‍যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের উপর পাথর নিক্ষেপকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠানো থেকে তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ ,তখন তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী?

১৮। আর অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরাত অস্বীকার করেছিল। ফলে কেমন ছিল আমার প্রত্যাখ্যান ( এর শাস্তি ) ?

১৯। তারা কি লক্ষ্য করেনি তাদের উপরস্থ পাখিদের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও গুটিয়ে নেয়? পরম করুণাময় ছাড়া অন্য কেউ এদেরকে স্থির রাখে না । নিশ্চয় তিনি সব কিছুর সম্যক দ্রষ্টা ।

২০। দয়াময় ছাড়া কে তোমাদেরকে সাহায্য করবে তোমাদের সেনাবাহিনী হয়ে? কাফিররা তো কেবল ধোঁকার মধ্যে পড়ে আছে।

২১। অথবা এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে রিজিক দানে করবে যদি আল্লাহ তার রিজিক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অহমিকা ও অনীহায় নিমজ্জিত হয়ে আছে ।

২২। যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখের ওপর ভর দিয়ে দলে সে কি অধিক হেদায়াতপ্রাপ্ত নাকি সেই ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে?

২৩। বলো, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং অন্তকরণসমূহ দিয়েছেন। তোমরা খুব অল্পই শোকর কর ।

২৪। বলো, তিনিই তোমাদেরকে জমিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।

২৫। আর তারা বলে, সে ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।

২৬। বলো, এ বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই নিকট। আর আমিতো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র ।

২৭। অতঃপর তারা যখন তা আসন্ন দেখতে পাবে, তখন কাফিরদের চেহারা মলিন হয়ে যাবে এবং বলা হবে, এটাই হলো তা, যা তোমরা দাবী করছিলে ।

২৮। বলো, তোমরা ভেবে দেখছ কি ? যদি আল্লাহ আমাকে এবং আমার সঙ্গে যারা আছে, তাদেরকে ধ্বংস করেদেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তাহলে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আজাব থেকে কে রক্ষা করবে?

আরো পড়ুনঃ- আশুরা অর্থ কি। আশুরার রোজা রাখার নিয়ম। আশুরার ইতিহাস।

২৯। বলো, তিনিই পরম করণাময় । আমরা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর ওপর তাওয়াকবুল করেছি । কাজেই তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়ছে ?

৩০। বলো, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভে চলে যায়, তাহলে কে তোমাদেরকে বহমান পানি এনে দিবে ?

সূরা আল-মূলক এর আরবি ভিডিও এবং অডিও  সূরা আল-মূলক তিলাওয়াতের সময়

সূরা মূলক রাতে ঘুমানোর আগে পড়া উত্তম, তবে অন্য যেকোনো সময়ও পড়া যাবে । সূরা আল-মূলকের অর্থ বুঝে নিয়মিত পড়লে অনেক তাৎপর্য পাওয়া যাবে। এই সূরা নামাজের সাথে পড়াও উত্তম। যদি আপনার মুখস্ত না থাকে আপনি দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সাওয়াব পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মূলক তিলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না। ( তিরমিজি )।

হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলিফ লাম মীম তানযিল ও তাবারাকাল্লাজি না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না ।

সূরা মূলক ৪১ বার পাঠ করলে সব বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ঋণ পরিশোধ হয় । এই সূরা পাঠে কবরের আজাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

পরিশেষে বলা যায়

আমাদের প্রিয় নবী হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মূলক না পড়ে ঘুমাতে যেতেন না। রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা ইশার নামাজের পরে বুঝে বুঝে সূরা মূলক বাংলা অনুবাদ উচ্চারণ অর্থ আরবি অডিও ফজিলত এবং শানে নুযূল পড়া যেতে পারে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সূরা মূলকের আমল নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন ।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url