সুমধুর কন্ঠে সূরা আর-রহমান আরবী উচ্চারণ, বাংলাঅর্থসহ । সূরা আর-রহমানের ফজিলত ।

 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম - পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।

যতই শুনি ততই মুগ্ধ হই আল্লাহর পবিত্র বাণী তিলাওয়াত করে কখনও মানুষ ক্লান্ত হয় না । কোরআন তিলাওয়াত  ভালোবাসা ও আমল আমাদের মানব জীবনে প্রকৃত তৃপ্তি ও শান্তি কোরআন শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। তাই বেশি বেশি করে শুনতে থাকুন, দেখবেন মুখস্থ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

সূরা আর-রহমান মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন ৫৫ তম সূরা, সূরা আর-রহমানের আয়াত ৭৮। এবং রুকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা -৩ । সূরা আর রহমান মক্কায় অবর্তীণ হয়েছে ।

এই সূরায় জীন ও মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, অতএব তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে? এই আয়াতটি ৩১ বার বলা হয়েছে।

যে ব্যক্তি সূরা আর রহমান নিয়মিত তেলাওয়াত করবে তেলাওয়াতকারীর উপর আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হয় । তার জন্য জাহান্নামের দরজাসমূহকে খুলে দেওয়া হবে।


যে ব্যক্তি এই সূরাটি নিয়মিত তিলাওয়াত করবে কেয়ামতের দিন তার চেহারা পূর্ণিমার েচাঁদের ন্যায় ঝলমল করতে থাকবে। দুনিয়াতে তার রিজিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে, যে ব্যক্তি লাগাতার ৪০ দিন সূর্য উদিত হওয়ার সময় এই সূরাটি তিলাওয়াত করবে এবং “ফাবিআইয়ি আ-লা-ই  রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন”। বলার সময় সূর্যের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করবে দুনিয়ার মধ্যে সব কিছু তার অনুগত হবে। তার স্ত্রী সন্তান তার বাধ্য হবে।

  • এই সূরাটি পাঠ করে চোখের মধ্যে ফু দিলে চোখের রোগ ভালো হয়ে যাবে।
  • এই সূরাটি স্বপ্নের মধ্যে  পড়তে দেখলে হজ্জ্বে যাওয়া নসীব হবে।
  • এই সূরাটি নিয়মিত তিলাওয়াত করলে বসন্ত রোগ হতে মুক্তি পাবে।

ফাবিআইয়ি আ-লা-ই  রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন । এই আয়াতটি তিনবার পাঠ করে কোন বিচার সালিশের মধ্যে গেলে বিচারকের মন পাঠকারীর উপর সদয় হবে।

যে ব্যক্তি সূরা আর রহমান ১১ বার তিলাওয়াত করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করবে তার মনের আশা পূরণ করবে।

আরো পড়ুনঃ- সূরা ফাতিহার আরবী উচ্চারণ, বাংলা অর্থ, অনুবাদ, বৈশিষ্ট্য, সূরা-ফাতিহার ফজিলত ।

এই সূরাটি নিয়মিত তিলাওয়াত করলে তিলাওয়াতকারীর সকল অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে।

হাদীসে এসেছে, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেন, প্রত্যেক জিনিসেরই একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে।

সূরা আর রহমান কোরআন শরীফের সৌন্দর্য। ফজিলতের দিক দিয়ে এটি অর্ধেক কোরআনের সমান।

পেইজ সূচিপত্রঃ- সুমধুর কন্ঠে সূরা আর-রহমান আরবী উচ্চারণ, বাংলাঅর্থসহ । সূরা আর-রহমানের ফজিলত ।

সূরা আর - রহমান এর ফজিলত 

সূরা আর রহমান এর ফজিলত সম্পর্কে নবী-করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন। যারা শুধু আল্লাহ তালাকে খুশি করার জন্য এই সূরাটি প্রত্যেক  আসরের নামাজের পর পাঠ করবেন তাদের চেহারা নূরানী হবে। স্ত্রী পুত্র তার তাবেদার হবে। তার রিজিকের বৃদ্ধি পাবে এবং সে বেহেস্তের হকদার হবে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান গণি জুন্নরাইন (রাঃ) এই সূরাটি পাঠ করে সারা বেহেস্তবাসীকে মহিমাহিত করবেন।

সূরা আর-রহমান বাংলা উচ্চারণ

১। আররাহমা-নু ।

২। আল্লামাল কুরআ-ন ।

৩। খালাকাল ইনছা-ন।

৪। আল্লামাহুল বায়া-ন।


৫। আশশামছুওয়ালকামারু বিহুছবা-ন।

৬। ওয়ান্নাজমুওয়াশশাজারু ইয়াছজূদা-ন।

৭। ওয়াছ ছামাআ রাফা’আহা-ওয়া ওয়াদা’আল মীঝা-ন।

৮। আল্লা-তাতাগাও ফিল মীঝা-ন।


৯। ওয়া আকীমুল ওয়াঝনা বিলকিছতিওয়ালা-তুখছিরুল মীঝা-ন ।

১০। ওয়াল আরদা ওয়া দা’ আহা-লিলআনা-ম।

১১। ফীহা -ফা - কিহাতুওঁ ওয়ান্নাখলুমা-তুল আকমা-ম।

১২। ওয়াল হাব্বুযুল আসফি ওয়াররাইহা-ন।


১৩। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।

১৪। খালাকাল ইনছা-না মিন সালসা-লিন কাল ফাখখা-র।

১৫। ওয়া খালাকাল জান্না মিম্মা-রিজিমমিন্নার ।

১৬। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন ।


১৭। রাব্বুল মাশরিকাইনি ওয়া রাব্বুল মাগরিবাইন।

১৮। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

১৯। মারাজাল বাহরাইনি ইয়ালতাকিয়া-ন।

২০। বাইনাহুমা-বারঝাখুল লা-ইয়াবগিয়া-ন।


২১। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

২২। ইয়াখরুজূমিনহুমাল লু’লূউ ওয়াল মারজা-ন।

২৩। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিব-ন।

২৪। ওয়ালাহুল জাওয়া - রিল মুনশাআ-তুফিল বাহরি কালআ’লা-ম।


২৫। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।

২৬। কুল্লুমান আলাইহা -ফা-নিওঁ।

২৭। ওয়া ইয়াবকা-ওয়াজহু রাব্বিকা যুল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।

২৮। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।


২৯। ইয়াছআলুহূমান ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লা ইয়াওমিন হুওয়া ফী শা’ন।

৩০। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।

৩১। ছানাফরুগু লাকুম আইয়ুহাছছাকালা-ন।

৩২। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

আরো পড়ুনঃ- সূরা ইখলাসের অর্থ, বাংলা অনুবাদ এবং ফজিলত এবং কোন সময় পাঠ করলে সকল দোয়া কবুল হবে ।

৩৩। ইয়া-মা’শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা’তুম আন তানফুযূমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূনা লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন।

৩৪। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।

৩৫। ইউরছালু’ আলাইকুমা-শুওয়া-জুম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন।

৩৬। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।


৩৭। ফাইযান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ার দাতান কাদ্দিহা-ন।

৩৮। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৩৯। ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু’ আন যামবিহী ইনছুওঁ  ওয়ালা-জান।

৪০। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।


৪১। ইউ’রাফুল মুজরিমূনা বিছীমা-হুম ফাইউ’খাযুবি-ন্নাওয়া ছী ওয়াল আকদা-ম।

৪২। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৪৩। হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী ইউকাযযি বুবিহাল মুজরিমূন।

৪৪। ইয়াতূ ফূনা বাইনাহা-ওয়া বাইনা হামীমিন আ-ন।


৪৫। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন ।

৪৬। ওয়া লিমান খা-ফা মাকা - মা রাব্বিহী জান্নাতা-ন।

৪৭। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।

৪৮। যাওয়া-তা আফনা-ন।


৪৯। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৫০। ফীহিমা আইনা-নি তাজরিয়া-ন।

৫১। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৫২। ফীহিমা-মিন কুল্লি ফা- কিহাতিন ঝওজা-ন।


৫৩। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৫৪। মুত্তাকিঈনা আলা-ফুরুশিম বাতাইনুহা-মিন ইছতাবরাকিও ওয়া জানাল জান্নাতাইনি দা-ন।

৫৫। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা -তুকাযযিবা-ন।

৫৬। ফীহিন্না কা- সিরা -মুত্তারফি লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা -জান।


৫৭। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৫৮। কাআন্নাহুন্নাল ইয়া -কূতুওয়াল মারজান-ন।

৫৯। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৬০। হাল জাঝাউল ইহছা-নি ইল্লাল ইহছা-ন।


৬১। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৬২। ওয়া মিন দূনিহিমা-জান্নাতা-ন।

৬৩। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৬৪। মুদ হূমমাতা-ন।


৬৫। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৬৬। ফীহিমা আইনা-নি নাদ্দাখাতা-ন।

৬৭। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৬৮। ফীহিমা-ফা কিহাতুওঁ ওয়া নাখলুওঁ ওয়ারুম্মা-ন।


৬৯। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা -তুকাযযিবা-ন।

৭০। ফীহিন্না খাইরা-তুন হিছা-ন।

৭১। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৭২। হূরুমমাকসূরা -তুন ফিল খিয়া-ম।


৭৩। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৭৪। লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা-জান।

৭৫। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।

৭৬। মুত্তাকিঈনা আলা-রাফরাফিন খুদরিওঁ ওয়া আবকারিইয়িন হিছা-ন।


৭৭। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবা-ন।

৭৮। তাবা-রাকাছমুরাব্বিকা যিল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।


সূরা আর রহমান বাংলা অনুবাদ

১। করুনাময় আল্লাহ।

২। শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন,

৩। সৃষ্টি করেছেন মানুষ,

৪। তাকে শিখিয়েছেন বর্ণনা।


৫। সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে।

৬। এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে ।

৭। তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদন্ড।

৮। যাতে তোমরা সীমালংঘন না করে তুলাদন্ডে।


৯। তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না।

১০। তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে।

১১। এতে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণবিশিষ্ট খর্জুর বৃক্ষ।

১২। আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল।


১৩। অতএব, তোমরা উভয় তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

১৪। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুল্ক মৃত্তিকা থেকে।

১৫। জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।

১৬। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?


১৭। তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের মালিক।

১৮। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

১৯। তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন।

২০। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।


২১। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে।

২২। উভয় দরিয়া থেকে উৎপন্ন হয় মোতি ও প্রবাল।

২৩। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

২৪। দরিয়ায় বিচরণশীল পর্বতদৃশ্য জাহাজসমূহ তাঁরই (নিয়ন্ত্রনাধীন) ।


২৫। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

২৬। ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল।

২৭। একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তার ছাড়া ।

২৮। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?


২৯। নভোমন্ডল ও মূমন্ডলের সবাই তাঁর কাছে প্রার্থী। তিনি সর্বদাই কোন  না কোনই কাজের রত আছেন।

৩০। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৩১। হে জিন ও মানব। আমি শীঘ্রই তোমাদের জন্য কর্মমুক্ত হয়ে যাব।

৩২। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?


৩৩। হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।

৩৪। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৩৫। ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিসফুলিঙ্গ ও ধুমকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না।

৩৬। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?


৩৭। যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।

৩৮। অঅতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৩৯। সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জিন।

৪০। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?


৪১। অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে।

৪২। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৪৩। এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত।

৪৪। তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিণ করবে।


৪৫। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৪৬। যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দুটি উদ্যান।

৪৭। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৪৮। উভয় উদ্যানই ঘন শাখা - পল্লববিশিষ্ট।


৪৯। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৫০। উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন।

৫১। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৫২। উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।


৫৩। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৫৪। তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিহানায় হেলানদিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।

৫৫। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৫৬। তথায় থাকবে আনতয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।


৫৭। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৫৮। প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।

৫৯। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৬০। সৎকাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?


৬১। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৬২। এই দুটি ছাড়া আরও দুটি উদ্যান রয়েছে।

৬৩। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৬৪। কালোমত ঘন সবুজ।


৬৫। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৬৬। তথায় আছে উদ্বেলিত দুই প্রস্রবণ।

৬৭। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৬৮। তথায় আছে ফল-মূল, খর্জুর ও আনার।


৬৯। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৭০। সেখানে থাকবে সচ্চরিতা সুন্দরী রমণীগণ।

৭১। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৭২। তাবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।


৭৩। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৭৪। কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি।

৭৫। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৭৬। তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে।


৭৭। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

৭৮। কত পূণ্যময় আপনার পালনকর্তার নাম, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url