ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর কার্যকরী উপায়!

ইউটিউব চ্যানেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ভিউ এবং সাবস্ক্রাইব। আপনাদের ইউটিউব এসইও সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকার ফলে এমন অনেকেই আছেন যারা ইউটিউব চ্যানেলের সেক্টরে সফলতা অর্জন করতে পারে না। 

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব। ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে আপনি নিজের তৈরি করা ভিডিও গুলো অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার মধ্যে এখন অন্যতম জনপ্রিয় পেশা ইউটিউবার। প্রথমবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলের গ্রোথ হতে একটু দেরি হলেও ধীরে ধীরে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

আপনি অল্প সময়ে একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর বেশ কিছু কৌশল আছে। যখন আপনি সেই কৌশল গুলোকে নিজের ভিতর নিয়ে আসতে পারবেন। ঠিক তখন থেকে আপনি যেকোনো ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইব বাড়িয়ে নিতে পারবেন।


ইউটিউব ভিডিও ভিউ বৃদ্ধি করার বিষয়ে লেখা প্রায় প্রত্যেক আর্টিকেলে আপনাদের সম্পূর্ণ ভাবে ও জরুরি এবং সব ধরনের তথ্য দেয়া হয়নি। ইউটিউব চ্যানেলে ভিউ বাড়ানোর জন্য, আপনার ভিডিও গুলি লোকেদের কাছে প্রথমেই প্রচার করাতে হবে।

আজ YouTube search algorithm এবং YouTube dot detections capacity দিনের পর দিন অধিক উন্নত মানের হয়ে যাওয়ার ফলে, YouTube search এর মাধ্যমে ভিউস পাওয়াটা আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউটিউব প্লাটফর্মে আজ প্রতিযোগিতার যুগ। এই প্লাটফর্মে হাজার লক্ষ্য লোকেরা প্রায় একই বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করেছেন।

আপনি আপনার নিজের তৈরি করা ভিডিও গুলো থেকে আয় করার সুযোগও পাবেন। তবে এই জনপ্রিয়তার উপরে থাকা সাইটে ভিডিও সাইট থেকে আয় করা কি এতটাই সোজা? ভিডিও আপলোড করলেই কি ইউটিউবে ভিউ বাড়বে? আয় করা যাবে?

আপনি বিষয়টি মোটেই সহজভাবে নিবেন না। আপনি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর জন্য গাইডলাইন মেনে ভিডিও আপলোড করার পাশাপাশি ভালো কন্টেন্টের চাহিদা থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ- ইউটিউব চ্যানেল সঠিকভাবে কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম। YouTube Channel Customization।

বর্তমান পৃথিবীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিতি  পেয়েছে ইউটিউব। সেকারণে আপনাকে উপার্জনের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে শুরুর দিকে সেভাবে মোটা টাকা উপার্জন না হলেও YouTube  এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। এবং সে কারণে আপনাকে কোন নিদির্ষ্ট সময় নিয়ে কাজ করতে হবে না।আপনি আপনার পছন্দমতো সময়ে বাড়ি বসেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

আপনি আর্টিকেলটি পড়েছেন আমি ধরে নিতে  পারি আপনি একজন নতুন ইউটিউবার এবং আপনি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর উপায় জানতে আর্টিকেলটি আপনি পড়েছেন কিংবা নতুন ইউটিউবিং এর কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন।

যদি তাই হয়ে থাকে, তবে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার মতে মানুষের জন্যই লেখা হয়েছে। আপনি কিভাবে নতুন তৈরি করা একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ বাড়ানো যায়। তার জন্য আপনাকে কোন টিপস এবং ট্রিকস গুলো ফলো করতে হবে তা আপনাকে বলবো। আপনি যদি ইউটিউব সেক্টরে অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা অর্জন করতে চান। তাহলে আপনি আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

পেইজ সূচিপত্রঃ- ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর কার্যকরী উপায়! 

ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ বৃদ্ধি করা দরকার কেন? 

আমরা সবাই ভিডিও আপলোড করি কেন? ৯০% এর বেশি আমার সাথে একমত হবেন যে কারণ অনলাইনে ইনকাম করার ইচ্ছা থেকেই ইউটিউবার হবার চেষ্টা করা।

আপনারা সবাই জানেন ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে বড় উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স। আপনাকে ইউটিউব থেকে মনিটাইজেশন পেতে ১২ সাসের মধ্যেই ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ হাজার ওয়াচটাইম পূরণ করতে হবে।

৪০০০ হাজার ঘন্টা  ওয়াচটাইম মানে হচ্ছে আপনার  ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো সর্বমোট ৪০০০ হাজার ঘন্টা  লোকেরা দেখতে হবে। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন, ইউটিউব প্রতি ভিডিও অন্ততপক্ষে ৩০ সেকেন্ড দেখলে তবেই এক মিনিট ভিউ কাউন্ট করা হয়। যদি কেউ ৩০ সেকেন্ডের কম সময় ভিডিওটি দেখে তবে ইউটিউব সেই  ভিডিওটি কাউন্ট করবে না।

আরো পড়ুনঃ- ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেস পরিচিতি। ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন?

আমি ধরে নিলাম আপনি ইউটিউব থেকে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন পেয়ে গেছেন। তারপর আপনার করণীয় কি হতে নিশ্চয় আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ভিউ বাড়ানোর জন্য কোন উপায় খুঁজতে হবে?

অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর ভিউ বাড়াতে হবে। আপনি দোকানে জিনিস রাখলে লাভ হবে? এবং দোকানের জিনিস বিক্রি করতে হবে তো? এবং আপনি দোকানের জিনিস যত বিক্রিয় করবেন তত লাভ।

আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্ট থেকে ইনকাম করার জন্য হলেও ইউটিউব ভিউ প্রয়োজন। কারণ আপনার ভিডিওতে ভিউ না হলে অ্যাড ইম্প্রেশন হবে না, আর অ্যাড ইম্প্রেশন না হলে আপনি টাকা পাবেন না।

কিভাবে ইউটিউব ভিউ বাড়ানো যায় 

ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিওতে প্রধান ৪টি সোর্স থেকে ভিউ আসে।

চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার থেকে ভিউ আসে 

ট্রেন্ডিং/ ভাইরাল

সার্চ রেজাল্ট থেকে

শেয়ার / ব্যাকলিংক

ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ নিয়ে আসার এই ৪টি সোর্সের মধ্যে সার্চ রেজাল্ট এবং সাবস্ক্রাইবার হলো সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। আপনি ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করতে পারলে তাদের কাছে প্রথমে আপনার প্রতিটি ভিডিও  পৌঁছে যাবে। কিন্তু আপনাকে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসার জন্য ভিডিও র‍্যাক করতে হবে।

ইউটিউব ভিডিওতে কিভাবে ভিউ আসে? 

আপনাকে সবার আগে ইউটিউব চ্যানেলের অ্যালগরিদম সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কারণ ইউটিউব হলো একটি প্রোগ্রামিং রোবট। ইউটিউব চ্যানেলে পূর্বে থেকেই প্রোগ্রামিং সেটআপ করা থাকে, যা পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে।

এখন আপনাদের জানার বিষয় হলো, আমরা যখন কোন ভিডিও আপলোড করি। তখন সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করে ইউটিউব কোন কোন কাজ গুলো করে থাকে। সেই কাজগুলোর সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানতে হবে।

আপনি যখন ইউটিউব চ্যানেলে কোন ভিডিও আপলোড করবেন। ইউটিউব সবার আগে আপনার সাবস্ক্রাইব এর নিউজফিডে আপনার ভিডিওকে শো করবে। যাকে আমরা বলতে পারি, ইউটিউব ব্রাউজার Feature. 

আরো পড়ুনঃ- ইমেইল মার্কেটিং কি? ইমেইল মার্কেটিং শিখার সহজ উপায়। 

ইউটিউব ব্রাউজার ফিচার থেকে আপনার ভিডিওতে কিরকম CTR আসছে, কত মিনিট Watch time আসছে ইউটিউব সেই ডাটা গুলো রেকর্ড করে রাখে। আপনি যদি আপনার সাবস্ক্রাইবার এর কাছ থেকে আপনার ভিডিওতে CTR ওয়াচ টাইম নিয়ে আসতে পারেন। ইউটিউবের অ্যালগরিদম তখন আপনার সেই ভিডিওকে আরো কিছু দর্শকের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তখন ইউটিউবের অ্যালগরিদম আপনার ভিডিওর সাবস্ক্রাইবার ছাড়া অন্য মানুষ দেখে কিনা তা চেক করবে। 

তখন ইউটিউবের অ্যালগরিদম বাড়তি দর্শকের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছানোর পর যদি আপনার ভিডিওটি ভালো পারফর্ম করে। তাহলে আপনার ভিডিওকে ইউটিউবের অ্যালগরিদম আরো বাড়তি দর্শকের ‍নিউজফিটে পাঠিয়ে দিবে। এইভাবে ধীরে ধীরে আপনার ভিডিওটি ইউটিউবের অ্যালগরিদম আপনার ভিডিওটি ভাইরাল করে দিবে।

আপনি কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল বড় করবেন?

আমরা যারা ইউটিউবে ভিডিও দেখি থাকি প্রায় ইউটিউব চ্যানেলের শুরুতে এবং শেষে বলে থাকে আপনারা যারা আমার ভিডিও দেখতেছেন তারা সবাই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করবেন। অনেকে লাইক,কমেন্ট, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করে থাকে এবং আবার অনেকে বিরক্তিবোধ করে।

আমরা সবাই জানি ইউটিউবের যেকোনো চ্যানেল বড় হয়ে থাকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার করার মাধ্যমে হয়ে থাকে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিউ আপনার কাছে অনেক মূল্যবান। কারণ আপনারা যারা ইউটিউব করে থাকেন তাদের জন্য প্রতিটি ভিউ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

তাছাড়া যে ভিডিওগুলো অনেক জনপ্রিয় সেই ভিডিও গুলো আপনি দেখতে চাইবেন। যে ভিডিওতে অনেক ভিউ হয়েছে সেই ভিডিও আপনার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

আপনার ভিডিওতে কেন ভিউ আসছে না

আমি মনে করি আপনি ইউটিউব চ্যানেলের সব Rules মেনে তারপর আপনি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করেছেন। কিন্তু তারপরও আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিউ আসছে না। এইসমস্যা শুধু আপনার না, অনেক ইউটিউবার এই সমস্যায় পড়ে থাকেন।

তাহলে আপনার প্রশ্ন হলো কেন ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ আসছে না। এবং এর সমাধান কি?

আমার দীর্ঘদিনের ইউটিউব চ্যানেলের কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়। আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ না আসার বেশ কিছু কারণ হতে পারে। আমি সেই কারণগুলো পর্যায়ক্রমে আপনাদের কাছে তুলে ধরবো।

আমার পরামর্শ হলো আপনার ইউটিউবে ভিউ না আসার কারণ আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।

আপনাকে সঠিক নিশ সিলেকশন করতে হবে

ইউটিউব চ্যানেল যখন নির্দিষ্ট কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে ভিডিও আপলোড করা হয়। তখন সেই বিষয়কে বলা হয় নিশ। তবে একটা সত্যি কথা বেশিরভাগ নতুন ইউটিউবার এই নিশ সিলেকশনকে তারা গুরুত্ব না দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলে পেলে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন আমাকে নিশ সিলেকশন করে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আপনাকে নিশ সিলেকশন করতে হবে। যদি আপনি নিশ সিলেকশন করে ইউটিউব চ্যানেল খুলেন তার অনেক সুবিধা।  তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

নিশ সিলেকশন এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে আপনি দুইটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

আপনি ইউটিউবে কোন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন?

কোন মানুষ গুলো আপনার ভিডিও দেখবে?

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন। তাহলে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনার শিখতে চাই তারা আপনার ভিডিও দেখবে। 

এখানে একটা বিষয় চিন্তা করে দেখতে হবে যে, যারা শিক্ষকতা করে। তাদের বসে বসে ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় থাকে না। আপনি যদি তাদেরকে টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করেন। তাহলে আপনার ভিডিওতে কম আসবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই আপনাকে নিশ সিলেকশনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ভিডিও তৈরি করা

আপনি আলাদা আলাদা বিষয়বস্তু টার্গেট করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরি করেন। আপনি প্রতিটি ভিডিওতে সার্চ করার জন্য কিছু কিওয়ার্ড থাকে যা আপনি ব্যবহার করেন।

আমি ইউটিউব চ্যানেলে একটা কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলাম Graphics design full course কিভাবে করা যায়।  এবার আপনি অন্য কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলেন Graphic design tutorials for beginners.

এখানে আপনি কমন কিছু কিওয়ার্ড ব্যবহার করেন তা হলো Graphic Design tutorials for beginners এই কমন টার্মকে বলা হয় কিওয়ার্ড। আপনাকে কিওয়ার্ড নিবার্চন করার সময় দুইটি বিষয় মাথায় রাখবেন।

প্রথম আপনাকে দেখতে হবে কোন কিওয়ার্ডটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে?

তারপর আপনাকে দেখতে হবে কোন কিওয়ার্ডটির সার্চ ভলিয়্যুম কত?

আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য এমন একটি কিওয়ার্ড বাছাই করেন, যে কিওয়ার্ড ইউটিউব চ্যানেলে খুব কম সার্চ করা হয়, সেই ভিডিও কিওয়ার্ড নিয়ে Rank করেও কোনো লাভ নেই। সার্চ রেজাল্ট থেকে আপনার ভিডিওতে তেমন ভিউ পাওয়ার  সম্ভাবনা নেই। 

আরো পড়ুনঃ- কম্পিউটারে বাংলা যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর টাইপিং করে লেখার নিয়ম 

আপনার ইউটিউব ভিডিওর কিওয়ার্ডগুলো যদি আপনার Targeted Audience Reach করতে না পারে তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ বাড়বে না, এটাই স্বাভাবিক। 

আপনি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য এই টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

Ahrefs

TubeBuddy

Google Trends

Vidiq

Youtube Auto Suggests 

ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে Audience এর আগ্রহ নাই

আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ না আসার আর একটি কারণ হলো আপনার ভিডিওতে দর্শকদের আগ্রহ নাই। যদি আপনি এমন কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন যা দর্শকদের আগ্রহ নাই। যা দর্শকরা দেখতে চায় না।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপনি যদি ফানি ভিডিও তৈরি করেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর ভিউ আসবে। কারণ ফানি ভিডিও সবাই দেখতে চাই।

অন্যদিকে আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞান বিষয়ক কন্টেন্ট নিয়ে ভিডিও বানান তাহলে আপনার ভিডিও ভিউ আসবে না। সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওতে কম ভিউ আসবে।

ইউটিউব ভিডিওর টাইটেল 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপনার ভিডিওর টাইটেল স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত রাখবেন। আপনাকে একটি ভিডিও তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেক সময় একটার ভিডিও পিছনে অনেক সময় দিতে হয় তারপর একটি সুন্দর ভিডিও তৈরি করা সম্ভব হয়।

আপনি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করলেন। কিন্তু আপনার আপলোড করা ভিডিওর সাথে যদি টাইটেল না মিলে তাহলে আপনার ভিডিওতে ভিউ আসবে না। তুলনামূলক কম ভিউ আসবে। কোন দর্শক যদি ভিডিওর টাইটেল দেখে আসে যদি টাইটেল অনুযায়ী ভিডিও না দেখে তারা তাড়াতাড়ি আপনার ভিডিও বন্ধ করে দেয়। যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের র‍্যাক হারানোর কারণ হতে পারে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্চিন ইউটিউব কোন টপিক সার্চ করার সময় প্রথমেই আপনার ভিডিওর টাইটেলটাই দেখবে। তাই আপনাকে ইউটিউব ভিডিও টাইটেল স্পষ্ট করে দিতে হবে। আবার একই সাথে রিসার্চ করার কিওয়ার্ড আপনার টাইটেলের সাথে রাখবেন।

ভিডিও ডেস্ক্রিপশন

আপনাকে টাইটেল দিয়ে বুঝানোর পাশাপাশি প্রতিটি ভিডিওর বিষয় বস্তু বুঝাতে ইউটিউব আমাদের ভিডিওতে ডেস্ক্রিপশন অপশন ব্যবহার করতে বলে। যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওর ভিউ বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি এসইও ফিচার।

এতে আপনার ভিউ বাড়ার পাশাপাশি আপনার ভিডিওটি খুঁজে পেতে দর্শকদের সুবিধাও হবে। কারণ এখানে আপনি কিওয়ার্ড এর পাশাপাশি রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোও ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন।

আরো পড়ুনঃ- ব্যাকলিংক কাকে বলে । কেন? ব্যাকলিংক কিভাবে তৈরি করবেন ।

যেমনঃ- আপনি ভিডিওর ডেস্ক্রিপশনে দিতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা এই কিওয়ার্ডের পাশাপাশি আপনি দিতে পারেন ইউটিউব থেকে আয়, ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন এমন রিলেটেড কিওয়ার্ড আপনার ভিডিওকে মাল্টি কিওয়ার্ডে Rank করার সুযোগ করে দিতে পারে।কিন্তু অলসতা কিংবা না জেনে আমরা অনেকেই এই সুবিধা ভোগ করি না।

অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে ভিডিও Description ৫০০ থেকে ৮০০ শব্দের মধ্যে রাখতে হবে। আপনি ডেস্ক্রিপশন লিখার সময় অবশ্যই ভিডিও রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। আপনি চাইলে ভিডিওর Description এই আপনি বিভিন্ন হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনার ইউটিউব ভিডিওর পারফরম্যান্স খারাপ  থাকা

আপনার ভিডিওতে ভিউ না আসার অন্যতম একটি কারণ হলো আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি খারাপ থাকা। আমরা বেশিরভাগ দেখতে পারি ইউটিউব চ্যানেলে সাধারণত লো কোয়ালিটি কন্টেন্ট এই ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে।

আপনি একটা বিষয় ভেবে দেখুন,  আপনি কোনো ভিডিও আপলোড করলেন। এবার ইউটিউব তার বিভিন্ন Feature এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে ভিউ আসার চিন্তা করলো। হতে পারে আপনি YouTube search, Suggested video, Browser Feature ইত্যাদি। এখন এই সময়ে যদি আপনার ভিডিও থেকে তেমন রেসপন্স না আসে। যদি আপনার ভিডিওর CRT অনেক কম থাকে। আর যদি পাশাপাশি Watch time আপনার মনের মতে না আসে। তাহলে ইউটিউবের অ্যালগরিদম মনে করবে আপনার ভিডিওতে কিছু নাই। তারপরে ইউটিউব আপনার ভিডিওর Rank Down করতে থাকবে।

ইউটিউবে সঠিক ট্যাগ ব্যবহার

আপনারা যারা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেছেন তারা সবাই জানেন যে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা প্রতিটি ভিডিওর সাথে ট্যাগ দিতে হয়। এখানে প্রচলিত যে ভুলটি আমরা করি সেটি হলো অনেকেই না বুঝে সঠিক ট্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে আপনি আপনি ভাইরাল ট্যাগগুলো ব্যবহার করে থাকেন।

আপনার উদ্দেশ্য হলো ভিডিওর সাথে ট্যাগ দেওয়ার কারণ সার্চ রেজাল্টে রিচ করা। আপনি ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার সময় এলোমেলো ট্যাগটি সাথে অপরটির সম্পর্কহীন ট্যাগ ব্যবহার করা হয়, তখন ইউটিউব আপনার ভিডিওর আসল বিষয়বস্তু নিয়ে কনফিউজড হয়ে যায়। 

আরো পড়ুনঃ- মহিলাদের ঘরে বসে আয় করার ২৫টি উপায়! মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার উপায় ।

ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওটি থেকে ভিউ আসা কিংবা আপনার ভিডিও র‍্যাক করার পরিবর্তে সার্চ রেজাল্ট থেকেই হারিয়ে যায়। 

আমরা যখন ইউটিউব ভিডিওর কিওয়ার্ড রিসার্চ করেছিলাম তখন সবচেয়ে ভালো কিওয়ার্ডটি মেইন কিওয়ার্ড হিসেবে নিয়েছি। কিন্তু আরো অনেক কিওয়ার্ড ছিলো যেগুলো দিয়েও সার্চ করা হয়। কিন্তু আমরা প্রধান কিওয়ার্ড হিসেবে বিবেচনা করি নাই।

ধরুন, আমাদের একটি ভিডিওর মেইল কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম "কম দামে ভালো পিসি ২০২২" তাহলে আমাদের ট্যাকগুলো হতে পারে। 

কম দামে ভালো কম্পিউটার ২০২২ বাংলাদেশ। 

কম দামে ভালো গেমিং কম্পিউটার। 

অল্প টাকার মধ্যে ভালো পিসি ইত্যাদি। 

এইরকম আরো কিছু ট্যাক আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করবেন। আপনার ইউটিউবে ভিডিওর ভিউ বাড়ানোর প্রধান কার্যকরী উপায়। 

আপনার ইউটিউব ভিডিওতে সাবটাইটেল ব্যবহার করবেন

আমরা ইউটিউব চ্যানেলে শুধু বাংলা, হিন্দি বা ইংরেজি ভাষার ভিডিও দেখি বিষয়টা এমন নয়। যদি মুভি বিষয়ক বিভিন্ন টিপস নিতে ইউটিউবে সার্চ করেন তবে দেখবেন বেশিরভাগ ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যায় হিন্দি ভাষায়। আপনি নিশ্চয়ই ইংরেজিতে লিখে সার্চ করেননি, তারপরেও তাদের ভিডিও সার্চ রেজাল্টে আসার কারণ সাবটাইটেল ব্যবহার।

যদি আপনার ভিডিওতে সাবটাইটেল না থাকে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিউয়াররা আপনার ভিডিওটি এড়িয়ে যাবে। আপনার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করার সময় ইউটিউব মেশিন ট্রান্সলেট করা যায়। আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যদি বাংলা হয়, আপনি পাশাপাশি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ইংরেজিতে ও লিখে দিন।

যেমনঃ- কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। How to create a YouTube channel. 

আপনি ইউনিক থাম্বনেইল ব্যবহার করুণ 

আপনারা যখন কোনকিছু ইউটিউবে সার্চ করেন তখন আপনাদের চোখে সর্বপ্রথম ইউটিউব ভিডিওর Thumbnail  এর দিকে চোখ পড়ে। প্রথম র‍্যাক এই থাকা ইউটিউব চ্যানেলের Thumbnail যদি দ্বিতীয়টির চেয়ে ভালো না হয়, তবে সাধারণত দ্বিতীয়টিতে বেশি ক্লিক পড়ে। আপনি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও যে বিষয় নিয়ে Content তৈরি করেছেন তার সাথে মিল রেখে আপনি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য thumbnail তৈরি করবেন। এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ বাড়বে। 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে thumbnail এই কখনই মিথ্যা তথ্য বা বানোয়াট কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এতে করে সাধারণ দর্শকরা আপনার উপর বিরক্তিবোধ করবে।

আরো পড়ুনঃ- জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস, ম্যাসেজ, ছন্দ, উক্তি। জুম্মা মোবারক ক্যাপশন

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য thumbnail তৈরি করা ক্ষেত্রে high quality Image ব্যবহার করা উচিৎ যেন যেকোনো বড় ডিভাইসেও ছবি ফেটে না যায়। 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের thumbnail এর ছবির সাইজ দুই এমবির কম নিতে হবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের Thumbnail এর ছবির ফরম্যাট JPG, PNG, BMP or GIF.

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ছবির রেজ্যুলেশান ১২৮০*৭২০।

Thumbnail লিখা স্পষ্ট করার জন্য উজ্জ্বল কালার ব্যবহার করবেন যেমনঃ- Yellow, Red, orange, or Blue.

ইউটিউব সার্চ কি

আপনি ইউটিউব যাওয়ার পর কোন কিছু লিখে সার্চ দেওয়ার জন্য যে খালি জায়গা থাকে সেই অপশনকে বলা হয়। ইউটিউব সার্চ বক্স। ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ নিয়ে আসার জন্য এই সার্চ বক্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

Suggested video কি

আপনি যখন ইউটিউব কোন ভিডিও দেখবেন। তখন আপনি দেখতে পারবেন সেই ভিডিওর নিচে আরও যে ভিডিও গুলো দেখা যায়। মূলত তাকেই বলা হয় Suggested video.

যখন আপনি কোনো ভিডিওকে Suggested list এই আনতে পারবেন। তখন সেই ইউটিউব ভিডিওতে অনেক ভিউ বাড়বে। যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

ইউটিউব প্লাটফর্মে যারা সফল তারা সবাই এই টেকনিক ব্যবহার করে সফলতা অর্জন করেছে। যদি আপনিও এই টেকনিক ফলো করে আপনার ভিডিওতে ভিউ বাড়াতে চান। তাহলে আপনাকে YouTube tag সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ এই ট্যাগ এর মাধ্যমে ইউটিউব আপনার ভিডিওকে Suggest করবে।

কিভাবে ইউটিউব সাজেস্ট থেকে ভিউ আনবেন

যখন আপনি এই টেকনিক ফলো করে আপনার ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। তখন আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। 

এজন্য আপনাকে প্রথম কাজ করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও রিলেটেড এমন ইউটিউব চ্যানেলের নাম খুঁজে নিতে হবে। যে চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে লক্ষ লক্ষ ভিউ আছে। মনে করুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেন। এখন আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার রিলেটেড ভিডিও ইউটিউব থেকে বের করতে হবে। তারপর ওই চ্যানেলের উক্ত ট্যাগগুলোকে আপনার ভিডিওতে বসিয়ে দিতে হবে।

টিপসঃ- অন্যের tag কপি করার পর সরাসরি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করবেন না। যদি আপনি এমনটা করেন তাহলে আপনার ভিডিও misleading metadata এর আওতায় পড়বে।

Browser Feature কি?

যখন আপনি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও আপলোড করবেন। তখন ইউটিউব আপনার ভিডিওতে ভিউ নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করবে। সেজন্য আপনার ভিডিওকে বিভিন্ন দর্শকের কাছে তুলে ধরবে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় Browser Feature. 

যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কিছু সাবসক্রাইবার থাকবে। তখন আপনি এই ফিচার এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। ধরুন আপনি মনে করুন, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার আছে। এখন আপনি ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথে আপনার ইউটিউবে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার পেয়ে যাবে। ইউটিউব প্রথমে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি সাবস্ক্রাইবার ১০০ জন হয়। তাহলে এই ফিচারটি আপনার চ্যানেলে তেমন কাজে আসবে না।

Improve your video starting time

যখন আপনি thumbnail এবং টাইটেল এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসবেন। তখন আপনার প্রধান টার্গেট হবে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে দর্শকদের ধরে রাখা। 

আপনার ভিডিওটি যদি ছয় মিনিটের হয় তাহলে আপনাকে প্রথমে চেষ্টা করতে হবে যেন দর্শকরা আপনার পুরো ভিডিওটি দেখার পর চলে যায়। আর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভিডিওর শুরুর পয়েন্ট। 

আরো পড়ুনঃ- ব্লগ কি। ব্লগ লিখে আয় করুন বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে।

ধরুন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও যদি তিন মিনিট দৈর্ঘ্যের হয়। এখন যদি দর্শকরা আপনার ভিডিওতে ক্লিক করার পর ৩ সেকেন্ড কিংবা ১০ সেকেন্ডের মধ্যে চলে যায়। তাহলে ইউটিউব মনে করবে আপনার ভিডিওতে তেমন কিছু নাই যার কারণে দর্শকরা এসেই চলে যাচ্ছে। সেজন্য আপনার ভিডিওর প্রথম ৩০ সেকেন্ড এমনভাবে তৈরি করবেন যেন শুরু থেকেই দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করে। 

ব্যাকলিংক তৈরি করুন 

ইউটিউবে ভিউ পাওয়ার অন্যতম একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে ভিডিও শেয়ার করা। আপনি যখন ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখতেছেন তখন আপনার কাছে ইউটিউব ভিডিওটা ভালো লাগছে তখন আপনি ভিডিও টা আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করবেন। আপনি দেখবেন ইউটিউবে প্রতিটি চ্যানেলের নিচে শেয়ার আইকন থাকে যেখানে আপনি ক্লিক করলে বিভিন্ন অপশন পাবেন যেখানে আপনি শেয়ার করতে চান। আপনি চাইলে চ্যানেলের লিংক কপি করে অন্যকাউকে পাঠাতে পারেন।  আপনি শুধু ইউটিউব ভিউ বাড়ানোর জন্য না বরং গুগল সার্চ রেজাল্ট কিংবা ইউটিউবে র‍্যাক করার জন্য অনেক জরুরি। 

ব্যাকলিংক হলো অন্য কোনো সাইটে গিয়ে আপনার ভিডিওটির লিংক যোগ করা। ইউটিউব ভিডিওর ভিউ বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিভিন্ন সাইটে পোস্ট করা এবং সোশ্যাল সাইটে শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাকলিংক পাওয়া সম্ভব হয়। আ

সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করা 

আপনার ইউটিউব ভিডিওটি যদি আরো মানুষের কাছে শেয়ার করতে চান বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে যেমনঃ- ফেসবুক পেইজ, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, টুইটার কিংবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। 

গ্রুপে ভিডিও শেয়ার করা 

আপনার ভিডিওগুলো যখন আপনি ফেসবুকের গ্রুপে শেয়ার করবেন তখন মানুষ আপনার ভিডিও গুলো খুব স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহণ করবেন। তবে যেকোনো ভিডিওই যেকোনো গ্রুপে শেয়ার করা যাবে না। দেখা যাবে গ্রুপের মেম্বার আপনার উপর বিরক্ত হয়ে রিপোর্টেও করতে পারে। আপনার ভিডিও যদি হয় মুভির তাহলে আপনি মুভি গ্রুপে শেয়ার করবেন। এতে করে আপনার ভিডিও শেয়ার অনেক বাড়বে তার সাথে ভিউ অনেক হবে।

ব্লগার এই শেয়ার করুন 

আপনি যে বিষয় নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেছেন সেই বিষয়ের উপরে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন। সেই আর্টিকেলের ভিতরে আপনার ইউটিউবের ভিডিও script এর কিছু অংশ লিখে তারপর আপনার ব্লগে ইউটিউব ভিডিওর Embed কপি করে আর্টিকেলে বসিয়ে দিতে পারেন। ব্লগ আর্টিকেলে সংশ্লিষ্ট ভিডিও থাকলে Rank করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতে করে আপনার ব্লগের ভিউ পাবেন তারপর আপনি ইউটিউবের ভিডিওর ভিউ বাড়বে। 

Answer Site ( প্রশ্ন উত্তর সাইট)

ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ বাড়ানোর জন্য Answer site গুলোর তুলনা হয় না। এই সাইটগুলোতে যিনি প্রশ্ন করবেন তিনি আপনার ভিডিও দেখবে বিষয়টা তেমন না। এই উত্তরটি একটি ব্লগ রাইটিং এর মতো। যারা এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করবে তারা সবাই আপনার ভিডিওটি দেখবে। এতে করে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে প্রচুর ভিউ বাড়বে। এসব প্রশ্নোত্তর সাইটে ব্যাকলিংক যথেষ্ট শক্তিশালী হয়।

ইউটিউব ভিডিওর প্লে-লিস্ট তৈরি  করবেন

আপনি নতুন ভিডিও আপলোড করার সময় প্লে-লিস্ট ইউটিউব To the crawler ভিডিও সম্পর্কে আরো স্পেসিফিক আইডিয়া দেয়। আপনার ইউটিউব ভিডিওটি কী নিয়ে তা ইউটিউবকে জানানোর জন্য প্লেলিস্ট সঠিক ব্যবহার করা উচিত। 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে একটি প্লেলিস্ট আপনার ইউটিউবে ভিউ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের যদি একটি ভিডিও দেখে খুব ভালো লাগে সেই প্লেলিস্ট এর অন্যান্য ভিডিওগুলোও দেখতে অনুপ্রাণিত হই। তখন ইউটিউবে আপনার ভিডিওর ভিউ অনেক উপরে উঠে যাবে।

Make a Google Content 

আপনি ইউটিউব ভিডিওর জন্য উপরের সব কাজ ফলো করার পর যদি আপনার ভিডিও ভালো না হয় তাহলে কোনদিন আপনার ইউটিউব ভিডিও Rank করবেনা। আপনি যতই এসইও করুন না কেন, আপনার ভিডিও কন্টেন্ট এর মান ভালো না হলে কোনো টেকনিক কাজে আসবে না। 

আপনি আর্কষণীয় Thumbnail এবং নজরকাটা টাইটেল দিয়ে আপনার ভিডিওতে দর্শকদের নিয়ে আসলেন। কিন্তু দর্শক আসার পর দেখলো আপনার ভিডিও কোয়ালিটি একদমই বাজে তাহলে কিন্তু দর্শকরা আপনার ভিডিওটি দেখতে চাইবে না।

আরো পড়ুনঃ- প্রফেশনাল ব্লগসাইট বানানোর নিয়ম। আয় করবেন যেভাবে। ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর নিয়ম 

আর এর ফলে আপনার ভিডিও এর Watch time এর পরিমাণ অনেক অংশে কমে যাবে। আর যখন আপনার ইউটিউব ভিডিওর Watch time কমে যাবে। তখন আপনার ইউটিউব ভিডিওটি ধীরে ধীরে Rank Drown কমে যাবে। এখানে চলতে চলতে আপনার ভিডিওটি একেবারে Freeze হয়ে যাবে। আপনি উপরের সব টেকনিক ফলো করবেন। আপনি যদি সব টেকনিক ফলো করেন তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিওর ভিউ আসবেই। 

টেকইনফোআইটি বাংলার শেষকথা

আপনি যদি ইউটিউব সেক্টরে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করতে চান। তাহলে আপনার মধ্যে অনেক ধর্য্য থাকতে হবে।  তারপরেই আপনি ইউটিউব সেক্টরে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।  আপনি কিভাবে ইউটিউবের ভিউ বাড়াবেন বা ভিডিওর ভিউ বাড়ানোর নিয়মগুলি কি কি, আমি মনে করি উপরের দেওয়া প্রত্যেকটি ধাপ আপনার কাজে আসবে। 

আপনি ইউটিউবের ভিডিও গুলিতে প্রচুর ভিউ পাওয়ার জন্য আপনার হয়তো গুগল সার্চ না হলে ইউটিউবের সার্চ এর সাহায্য নিতেই হবে। অন্য কোনো মাধ্যমে অধিক ভিউ পাওয়াটা সম্ভব না Youtube এর ক্ষেত্রে। 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url