ইউটিউব চ্যানেল সঠিকভাবে কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম। YouTube Channel Customization।

আপনি কি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমি ভাববো আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। টেকইনফোআইটি বাংলায় আজকের আর্টিকেলে আমি YouTube channel এর কাস্টমাইজড কিভাবে করবেন তার যাবতীয় বিষয় গুলো স্টেপ বা স্টেপ আলোচনা করবো।

বর্তমানে এই ডিজিটাল সময়ে ইউটিউব এমন একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম যাদের মধ্যে চেষ্টা ও প্রতিভা আছে তারা এই অনলাইন জগতে ইউটিউবং করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন। 

আপনার পরিচিতি এমন অনেকেই আছে, যারা ইউটিউবে একটু বেশি শ্রম দিয়ে কাজ করেছে তারা ইউটিউবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারছে। লোকেরা যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ক্যারিয়ার গড়তে পারে। তাহলে আপনি কেন পিছিয়ে থাকেন। আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আপনার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। 


এছাড়াও একজন নতুন ইউটিউবার কিভাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করবে, আপনি কিভাবে ইউটিউব এসইও করার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করবেন তার উপায় নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়েছে। 

আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে, আপনি তাহলে সেখানে কাজ করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু প্রথমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে সুন্দর করে সাজাতে হবে মানে আপনাকে কাস্টমাইজড করতে হবে।

সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আরও একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনার সামনে হাজির হয়েছি। আপনি কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে Professionally Customize করবে সেই সম্পর্কে টেকইনফোআইটি বাংলায় আলোচনা করবো।

তাই আপনি যদি একজন সফল ইউটিউব হতে চান, তাই আপনাকে আমাদের লেখা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ এখানে আপনাকে যে বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলব তা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পেইজ সূচিপত্রঃ- YouTube Channel Customization।

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন কি / YouTube channel Customization 

আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে, YouTube channel Customization কি? কারণ আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সেই বিষয়ের সম্পর্কে খুটিনাটি জানতে হবে। যদি আপনি সেই বিষয় সম্পর্কে না জানেন তাহলে সঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন না।

সাধারণত আমরা জানি কাস্টমাইজড শব্দের অর্থ হচ্ছে কোন কিছুকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়াকে বুঝায়। আপনি যখন একটি কম্পিউটারে কোথায় কি রাখবেন এবং কম্পিউটার Screen কি থাকবে ইত্যাদি মাধ্যমে সাজিয়ে নেন। মূলত সেইটি হলো কাস্টমাইজেশন। 

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন কি? 

আপনি যদি উপরের কথাগুলো পড়ে থাকেন। তাহলে আপনি কাস্টমাইজেশন কি এই বিষয়ে ধারণা নিতে পারছেন। এখন আপনাকে আমি জানাব ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন কি? আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে নিজের মতো করে সাজাবেন তখন তাকে বলা হবে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন। 

কিন্তু এখানে আপনার প্রশ্ন আসতে পারে, আপনার প্রশ্ন হলো একটি ইউটিউব চ্যানেল এর কোন কোন বিষয় গুলো সাজাতে বা কাস্টমাইজড করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ- নতুন করে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম। প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম 

একটি ইউটিউব চ্যানেলকে প্রফেশনাল ভাবে কাস্টমাইজড করার জন্য আপনাকে অনেক কিছু বিষয় মাথায় নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলকে সাজাতে হবে। 

যেমনঃ- আপনাকে বলতে চাই, আপনার চ্যানেল এর লোগো কেমন হবে, আপনার চ্যানেল এর হোমপেইজ ও প্লেলিস্ট কিভাবে রাখবেন ইত্যাদি বিষয় গুলো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিতে হবে আর তাকেই ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ বলা হয় । 

কেন আপনি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করবেন?

এবার আমরা মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। উপরে শুধু ইউটিউব চ্যানেলর কাস্টমাইজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজটি করতে হবে?  কারণ একজন ইউটিউবার হিসেবে আপনাকে উক্ত কাস্টমাইজড এর কাজ অবশ্যই করতে হবে। আর এই কাজটি করলে আমরা কিরকম সুবিধা পাবো সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা অতি আবশ্যক। কিন্তু আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজড করার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কেই না জানেন। তাহলে এই কাজের প্রতি আপনার তেমন আগ্রহ কাজ করবে না।

একটি ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে একজন ইউটিউব এর স্বপ্নের চ্যানেল। উক্ত কথাটি শুধু মাত্র সেই লোক গুলো গভীর ভাবে অনুভব করতে পারে। যারা কোন না কোনভাবে ইউটিউব এর একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে কাজ করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ- ব্যাকলিংক কাকে বলে । কেন? ব্যাকলিংক কিভাবে তৈরি করবেন ।

যারা মূলত ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করে থাকেন। তারা সকলেই  সফলতা অর্জন করতে আগ্রহী থাকে। সেই সফলতার পিছনে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

কারণ একজন দর্শক কিন্তু বিনা কারণে আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে না। তারা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের বিভিন্ন দিক অনুসরণ করে তারপর আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে। তাই ইউটিউবের এর এলগোরিদম অনুযায়ী বলা যায় যে যখন কোন দর্শক আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোন ভিডিও দেখার পরে ভালো লাগবে তখন সেই দর্শক আবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আরো একটি ভিডিও দেখার জন্য আগ্রহী হবে।

এর মানে যখন ইউটিউব বট লক্ষ্য করবে যে, একজন দর্শক আপনার সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখেছে তখন ইউটিউব বট আপনার চ্যানেলের আরো একটি ভিডিও সেই দর্শকদের দেখানোর জন্য চেষ্টা করবে।

তারপর সেই দর্শকের যদি পরবর্তী ভিডিওটিও ভালো লাগে। তখন সে সরাসরি আপনার YouTube Channel এর ভিতরে প্রবেশ করবে। এরপর আপনার চ্যানেলের ভিতরের অংশটি যদি তার কাছে ভালো মনে হয়। তখন সেই দর্শক আপনার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবে।

কিন্তু সমস্যা হলো, সেই দর্শক যদি আপনার চ্যানেলের ভিতরে গিয়ে দেখে সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে । যদি দেখে আপনার চ্যানেলটি সঠিকভাবে কাস্টমাইজড করা নেই। তাহলে কি সেই দর্শক  আপনার চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করবে না।

করণ আপনার কছে ভালো লাগা বা না লাগাতে কোন যায় আসবে না। দর্শকদের কাছে কেমন লাগবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার জন্য আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন এর উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। আর যদি কাস্টমাইজ না করেন তাহলে আপনি ‍দিন রাত পরিশ্রম করলেও কোন ফল পাবেন না মানে সফল হতে পারবেন না।

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজড করতে কি কি লাগে?

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলটি কাস্টমাইজড করতে চান। তাহলে আপনার কিছু জিনিস এর দরকার হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করার জন্য কি কি লাগে। 

সবার আগে আপনার একটি ডিজাইন দরকার হবে। তারমানে আপনার কাছে অবশ্যই একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল দরকার হবে। আপনি যেহেতু ইউটিউবিং করছেন তাহলে আপনার কাছে একটি ডিভাই রয়েছে। 

তারপরে আপনাকে ডাইমেনশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে, ডাইমেনশন কি। তাহলে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। 

আরো পড়ুনঃ- প্রফেশনাল ব্লগসাইট বানানোর নিয়ম। আয় করবেন যেভাবে। ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর নিয়ম 

আপনি যখন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন সেই সময় চ্যানেলে একটি প্রোফাইল পিকচার ও কভার ফটো ব্যবহার করা হয়। তবে এটি আপনার জেনে নেওয়া দরকার যে, আপনি চাইলে সকল প্রকার পিকচার ব্যবহার করতে পারবেন না। তার কারণ হলো ইউটিউব আগে থেকে একটি নিদির্ষ্ট সাইজের পিকচার ব্যবহার করার নিয়ম প্রদান করে দিয়েছে। 

আপনি যদি চ্যানেলের প্রোফাইল পিকচার বা লোগো সেট করতে চান তাহলে আপনাকে ইউটিউব এর নির্দেশনা অনুসারে নিদির্ষ্ট সাইজের লোগো যুক্ত করতে হবে। সেই ভাবে আপনার চ্যানেলের পিচারও নিদির্ষ্ট একটি সাইজের ডাইমেনশন হতে হবে। 

এখন আপনার ফিচারগুলো ডাইমেনশন কেমন হতে হবে সেই সম্পর্কে আপনাকে জানাবো। আপনি এই বিষয়ে না জানলে কাস্টমাইজ করতে পারবেন না।

আপনি কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করবেন?

এখন আমরা মূল আলোচনায় চলে এসেছি। উপরের আলোচনা থেকে  কাস্টমাইজ কি, কেন ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজড করতে হয় সেই সম্পর্কে জানিয়েছি।

এখন আপনাকে জানাবো কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করবেন। তাহলে চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করতে চাইলে শুরুতে যে বিষয়টি চলে আসবে সেটি হলো ইউটিউব চ্যানেলের লোগো বা প্রোফাইল পিকচার। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের একটি প্রফেশনাল লোগো ইউটিউব চ্যানেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আমি লোগো এর সাথে আর দীর্ঘায়িত না করে এবং এবার আমরা জানবো যে, আপনি একটি Professional YouTube logo কিভাবে তৈরি করতে পারেন। আবার আপনি সেই লোগোকে আপনার চ্যানেল এর মধ্যে সেটআপ করবেন।

কিভাবে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেলের লোগো তৈরি করবেন?

আপনি কোনো চ্যানেলের লোগো তৈরি করার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, আপনার চ্যানেলটি আসলে কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। যদি আপনার চ্যানেলটি অনলাইন আর্নিং রিলেটেড হয়। তাহলে আপনার চ্যানেলের লোগো টি কেমন হবে আর অপরদিকে টেক রিলেটেড চ্যানেলের লোগোটি কিন্তু অন্যরকম হবে। তাহলে আপনি মোট তিনভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লোগো তৈরি করতে পারবেন। 

  • Manual
  • Create From online website 
  • Hire a Professional Designer. 

আপনি এই তিনটি উপায়ে আপনার চ্যানেল এর জন্য লোগো তৈরি করতে পারবেন। যদি আপনার ডিজাইন সম্পর্কে হালকা ধারণা থাকে। তাহলে আপনি নিজেই আপনার চ্যানেল এর জন্য লোগো তৈরি করতে পারবেন। অথবা অনলাইনে এমন অনেক সোর্স আছে, যেখানে থেকে আপনি ফ্রি অথবা পেইড Service এর মাধ্যমেও তৈরি করতে পারবেন। 

Manually Create YouTube Channel logo

যদি আপনি কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় না করে আপনার নিজের প্রতিভাব্যয় মাধ্যমে লোগো তৈরি করতে চান। তাহলে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।

আর যদি আপনার এই বিষয় গুলোর সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা না থাকে। তাহলেও কোনো সমস্যা নেই, কারণ বর্তমানে ইউটিউব বা গুগোলের মতো অনেক সোর্স  আছে। যেখান থেকে আপনি ক্লিয়ার ধারণা নিতে পারবেন। 

আপনার কাছে যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে। তাহলে লোগো তৈরি করার জন্য ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটর নামের সফটওয়্যার গুলো আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। 

কিন্তু আপনার কাছে যদি শুধুমাত্র একটি মোবাইল থাকে তাহলেও কোনো টেনশন করার প্রয়োজন নেই। আপনি মোবাইল থেকেও প্রফেশনাল লোগো তৈরি করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ- জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস, ম্যাসেজ, ছন্দ, উক্তি। জুম্মা মোবারক ক্যাপশন

যদি আপনি মোবাইল থেকে এই কাজটি করতে চান। তাহলে আপনার কাছে Picsart বা Pixlab এর মতো ইমেজ এডিটিং অ্যাপস গুলোর প্রয়োজন পড়বে। কারণ এই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে ফটো এডিটিং রিলেটেড যাবতীয় কাজগুলো খুব ভালোভাবে করা যায়। 

যখন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য লোগো তৈরি করবেন। তখন আপনি Color Combinations দিকে ফোকাস রাখবেন। আপনি মনে রাখবেন, কোনো ফিকচারের Background যদি ডাক হয়। তাহলে ডাক ফিকচারের উপরে যে টেক্সটগুলো থাকবে। সেগুলো light Color এর হতে হবে। আবার Background light হয়। তাহলে টেক্সট কালার Dark হওয়া ভালো।

Dimension for YouTube  channel logo

আমি আপনাদেরকে উপরে একটা কথা বলেছিলাম যে, যখন আপনি কোনো চ্যানেলকে কাস্টমাইজ করবেন। তখন আপনাকে Dimension কাকে বলে, সে সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি। 

এবার আমরা জানবো যে, আপনি যখন আপনার চ্যানেলের জন্য প্রোফাইল ছবি বা লোগো ব্যবহার করবেন। তখন সেই পিকচারের Dimension কত হবে? অর্থ্যাৎ সেই পিকচারের সাইজ কত হবে?

আপনারা উপরের একটি পিকচার দেখতে পারছেন। মূলত এটিই হলো আপনার চ্যানেলের লোগো এর Dimension  হতে হবে ৮০০×৮০০।

YouTube Image size logo

FA Cooking Studio logo

Tips:-
YouTube profile photo size: 800 x 800 pixels (recommended)
Tips
Make sure the focus of your photo is centered for best results.
Files should be JPEG, GIF, BMP or PNG. 
Photos will render at 98 x 98 pixels.
YouTube Art banner image size: 2560 x 1440 pixels (at minimum)- TV
YouTube Art banner image size: 2560 x 423 pixels (at minimum)- Desktop
YouTube Art banner image size: 1546 x 423 pixels (at minimum)- Desktop and Mobile
YouTube Art banner image size: 1855 x 423 pixels (at minimum)- Tablet
Minimum area for text and logos without being cut off: 1235 x 338 pixels
Maximum file size: 6MB

যার অর্থ হলো, আপনি যতো বড় পিকচার আপলোড করেন না কেন। ইউটিউব কিন্তু এই ৮০০×৮০০ পিক্সেলের মধ্যে যে অংশটুকু থাকবে। সেই অংশটুকু ইউটিউব কাউন্ট করবে।

তাই আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য লোগো তৈরি করবেন। তখন আপনি এই বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর রাখবেন।

ইউটিউব চ্যানেলের লোগো কিভাবে সেট করবেন?

কিভাবে একটি লোগো তৈরি করতে হয় এবং তার জন্য আপনার কোন কোন বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে।  আশা করি সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তাই এবার আমরা জানবো যে, কিভাবে সেই লোগোকে আপনার চ্যানেলের মধ্যে সেটআপ করবেন। 

যদি আপনি মোবাইল থেকে আপনার চ্যানেলের লোগো সেটআপ করতে চান। তাহলে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন। 

  • আপনি প্রথমে ইউটিউব অ্যাপে যাবেন।
  • তারপর আপনি ইউটিউব চ্যানেল সাইনআপ করবেন।
  • তারপর আপনি ইউটিউব চ্যানেল ইডিট করবেন।
  • তারপর আপনি ইউটিউব চ্যানেলের লোগোর উপর ক্লিক করবেন। 
  • তারপর আপনি ইউটিউব চ্যানেলের লোগো সিলেক্ট করবেন।

আপনি মাত্র পাঁচটি স্টেপ ফলো করলেই আপনি আপনার চ্যানেলের লোগো সেট করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি কম্পিউটার থেকে এই কাজটি করতে চান। তাহলে আপনাকে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে। 

  • Go to YouTube studio or Click here.
  • Now go Customization option. 


Customization এই ক্লিক করার পর আপনি নিচের ছবির মত ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। তারপর আপনাকে  Branding লেখাতে যেতে হবে। 

তারপর আপনার চ্যানেল জন্য লোগো বা প্রোফাইলে ছবি দেওয়ার জন্য Upload লেখাতে ক্লিক করে আপনার লোগোটি সিলেক্ট করে নিন। আমি আমার চ্যানেলের জন্য বানানো লোগোটি আপলোড করেছি। এখন ডান পাশের Publish লেখাতে ক্লিক দিলেই কাজ শেষ।


কম্পিউটার থেকে মাত্র এই কয়েকটি স্টেপ ফলো করে আপনার চ্যানেলের জন্য কাঙ্ক্ষিত লোগো সেট করতে পারবেন। উপরের দেখানো নিয়মে।

ইউটিউব চ্যানেল আর্ট কি?

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লোগো তৈরি করার পরে যে বিষয়টি সামনে আসবে সেটি হলো YouTube Channel Art.

সাধারণত কোনো একটি চ্যানেলে প্রবেশ করার পরে প্রোফাইল পিকচারের পিছনে যে আরও একটি পিকচার দেখা যায়। মূলত তাকেই বলা যায়, Channel Art যাকে আমরা Cover Picture বলে থাকি।

সত্যি বলতে যখন কোনো দর্শক আপনার চ্যানেলের ভিতরে প্রবেশ করবে। তখন সবার আগে আপনার সেই চ্যানেল আর্টে তার চোখ পড়বে। তাই এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে।

YouTube Channel Art Dimension

আমরা যখন প্রোফাইল পিকচার নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। সেখানে মাত্র একটি সাইজের কথা বলা হয়েছিলো । অর্থ্যাৎ, আপনি যেকোনো ধরনের পিকচার আপলোড করুন না কেন। ইউটিউব শুধুমাত্র ৮০০*৮০০ পিক্সেলকে কাউন্ট করবে।

কিন্তু যখন আপনি Channel Art কে সেট করতে যাবেন। তখন আপনার সামনে আরো বেশ কিছু বিষয় চলে আসবে। এবং আপনাকে এই প্রত্যেকটি বিষয়ের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।

তখন সে আপনার চ্যানেল এর কভার ছবি এর ১৫৪৬*৪২৩ পিক্সেলে যে অংশটুকু থাকবে। সে শুধুমাত্র সেই অংশটুকু দেখতে পারবে।

আবার কেউ যদি টেবলেট থেকে আপনার চ্যানেলকে ভিজিট করে। তাহলে সে ১৮৫৫*৪২৩ পিক্সেলে যে অংশটুকু থাকবে। সে শুধুমাত্র সেই অংশটুকু দেখতে পারবে।

ঠিক একইভাবে কেউ যদি Desktop থেকে ভিজিট করে তাহলে ২৫৬০*৪২৪ পিক্সেল এবং টিভি থেকে ভিজিট করলে ২৫৬০*১৪৪০ পিক্সেলে যে অংশটুকু থাকবে। শুধুমাত্র সেই অংশটুকু দেখতে পারবে।


ইউটিউব এর চ্যানেল আর্ট সম্পর্কে উপরের কথা গুলো যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে নিচের পিকচারটি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করুণ। তাহলে সবকিছু সহজেই বুঝতে পারবেন।

How to make a Channel Art?

যখন আপনি ইউটিউব চ্যানেল এর ডাইমেনশন সম্পর্কে জানতে পারবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই চ্যানেল আর্টকে তৈরি করতে পারবেন।

আপনার হাতের কাছে যদি কম্পিউটার বা  ল্যাপটপ না থাকে, তাহলে আপনি মোবাইলে pixel lab বা picsart অ্যাপস এর মাধ্যমে চ্যানেল আর্টকে তৈরি করতে পারবেন।

আর আপনার কাছে যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে। তাহলে আপনি Photoshop বা illustrator নামক সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আর্কষণীয় চ্যানেল আর্ট তৈরি করতে পারবেন।

কিন্তু সমস্যা হলো, শুধু চ্যানেল আর্ট তৈরি করলেই তো হবেনা। বরং সেই পিকচারটি যেন দর্শকদের কাছে ভালো লাগে, তাদের কাছে আর্কষণীয় মনে হয়, সেই দিকেও বেশ নজর রাখতে হবে।

Mistake for making Channel Art 

সবকাজেই যেমন মানুষ কোনো না কোনো ভুল করে থাকে। ঠিক তেমনি একটি চ্যানেল আর্ট বা কভার পিকচার তৈরি করার সময়েও মানুষ বেশ কিছু ভুল করে থাকে। সেই ভুল গুলো আসলে কি, এবার সম্পর্কে ছোট পরিচয়ে জেনে নেয়া যাক।

আমার দেখা এমন অনেক YouTube Channel  আছে । যারা তাদের মেইন লোগো কে বেশ বড় করে কভার পিকচারের বসিয়ে দেয় । আবার অনেকেই আছে যারা তারা চ্যানেল এর নামকে বড় সাইজ করে কভার পিকচার বসিয়ে দেয়। কিন্তু আপনার জেনে নেওয়া উচিত যে, এই কাজটি করা মোটেও ঠিক না। যা অনেক নতুন ইউটিউবার করে থাকেন তবে প্রশ্ন হলো যে, তাহলে আমরা কভার পিকচারে কি দিবে? যখন আপনি এই কাজটি করবেন তখন আপনার চ্যানেল এর যে স্লোগান আছে। সেই স্লোগান টিকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কভার পিকচারে বসিয়ে দিবেন। এর পাশাপাশি আপনার চ্যানেল এর টপিক রিলেটেড কিছু আইকন অথবা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এর কিছু আইকন বসিয়ে দিতে পারেন।

আপনি এই কাজটি করার ফলে, আপনার তৈরি করা পিকচারটি একটু প্রফেশনাল লুক পাবে। এর পাশাপাশি দর্শকদের কাছে ভালো লাগবে।

আপনার নিশ রিলেটেড বাকি যে চ্যানেল গুলো আছে। আপনি সেই চ্যানেল গুলোকে ফলো করবেন। তারা কিভাবে তাদের চ্যানেলকে সাজিয়েছেন তা আপনি ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করবেন।

How to set a YouTube channel Art?

কিভাবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল আর্ট তৈরি করা যায়। আশা করি সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তাই এবার আমরা জানবো যে, কিভাবে আপনি সেই  picture কে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর মধ্যে সেট করবেন।

যাদের কাছে কম্পিউটার কিংবা ডেক্সটপ আছে তারা এই কাজটি সহজেই করতে পারবেন। 

কিন্তু যাদের কাছে মোবাইল আছে, তারা যেকোনো একটি ব্রাউজারে গিয়ে Desktops mode চালু করার পরে এই কাজটি করতে পারবেন। 

এই কাজের জন্য আপনাকে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে।

  • First go to YouTube studio or click here.
  • Go to Customization option. 
  • Now Click on Branding. 
  • Now find the Banner Image option. 
  • Click Upload. 
  • Select Your photo and click Published. 
  • Done.

আপনি উপরের আলোচনায় এই স্টেপ গুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কভার পিকচার সেটআপ করতে পারবেন। কেননা ইউটিউব চ্যানেলের প্রোফাইলের মতই ব্যানার আপলোড করতে পারবেন।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের হোমপেইজ 

যখন কোনো দর্শক আপনার চ্যানেলের ভিতরে প্রবেশ করবে। তখন সেই দর্শক যা কিছু দেখতে পারবে, সেটিই হলো আপনার চ্যানেলের হোমপেইজ। 

এই হোমপেইজে আপনি অনেক কিছুই রাখতে পারবেন। যেমনঃ- আপনার পছন্দের কোন ভিডিও রাখতে পারবেন আবার যদি আপনার অন্য কোনো চ্যানেল থাকে। তাহলে সেই চ্যানেল কেও যুক্ত করে হাইলাইট করতে পারবেন।

কিভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের হোমপেইজকে কাস্টমাইজড করবেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর।  তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এখানে আপনার কিছু টেকনিক অবলম্বন করা উচিত। 

হোমপেইজের শুরুর দিকে আপনার Recent Upload করা ভিডিও গুলোকে রাখবেন। তারপরে আপনার Popular video গুলোকে রাখবেন। এরপর আপনার পছন্দ মতো সাজিয়ে নিবেন। যা বড় বড় প্রফেশনাল ইউটিউব করে থাকে।

Create Playlist for more view 

একটি চ্যানেলে প্লে লিষ্ট থাকতেই হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতক নেই। তবে আপনি যদি Playlist তৈরি করেন। তাহলে অন্যদের থেকে আপনি একটু বেশি পরিমানে বেনিফিট পাবেন। 

মনে করুন, আপনি অনলাইন ইনকাম নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন। এখন যদি আপনি মোবাইল থেকে ইনকাম করা ভিডিও গুলো আলাদা Playlist এই রাখেন। আবার ডেক্সটপ থেকে ইনকাম করার ভিডিও গুলো অন্য একটি Playlist  রাখেন।

তাহলে মোবাইল ব্যবহারকারীরা আপনার মোবাইল থেকে ইনকাম করার প্লে লিস্টে যে ভিডিও গুলো থাকবে। তাহলে তারা একসাথে বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখার সম্ভাবনা থাকবে। ঠিক একইভাবে আপনি আরও ভিন্নভাবে বেনিফিট পাবেন। 

How to verify YouTube channel? 

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন এর মধ্যে ভেরিফাই না থাকলে। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে ভরিফাই করেন। তাহলে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার অনেক গুলো ফিচারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। 

  • Go to this link by click here
  • You will see an enter page
  • Select text me the verification code
  • Select Your country name.
  • Write Your phone number and YouTube will send an OTP code.



You Tube Video Size


YouTube video size: 1280 x 720 pixels (at minimum)
Tips
YouTube recommends that videos intended for sale or rental have a higher pixel count: 1920 x 1080 pixels.
YouTube requires videos to be 1280 x 720 pixels in order to meet HD standards.

YouTube thumbnail size: 1280 x 720 pixels

শেষকথা

কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে কাস্টমাইজড করতে হয়। আপনারা সেই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। এরপরও যদি কোন প্রকার সমস্যা হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করবেন। আর যদি আমার আর্টিকেল ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের শেয়ার করবেন। 




 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url