techinfoitbangla.com https://www.techinfoitbangla.com/2022/09/--_0562627352.html

ব্লগ কি। ব্লগ লিখে আয় করুন বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে।


ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করা যায়। ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়। ব্লগিং লিখে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন ‘

ব্লগ দিয়ে ইনকাম করার উপায়। আমরা অনেকেই বহু লেখা-লিখি পড়ে থাকি সেই গুলো কি? এবং সেই লেখকরা কিভাবে আয় করেন সেইসব বিষয়ে জানতে আগ্রহী হলে এই আর্টিকেলটি ভালোকরে পড়বেন। এখানে আমরা ব্লগ বা ব্লগিং কি, ব্লগ মানে কি ও ব্লগ লিখে আয় করার উপায় গুলি কি কি সেই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে জানবেন।

ব্লগ লিখে আয় করুণ বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে যেখানে কিছু লেখক তাদের জ্ঞান গোটা পৃথিবীর মধ্যে শেয়ার করেন।


ব্লগিং থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন সেই উপায় কি তা আজকের আর্টিকেলে বলব। ব্লগিং হল নিজের জানা - অজানা তথ্য গুলোকে অন্যের মাধ্যমে শেয়ার করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই পৃথিবীর সবাই এক একজন ব্লগার। সব চাইতে আনন্দের বিষয় হলো আপনি আপনার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অন্যের সাথে শেয়ার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

 কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন? যখন মানুষ শখের বসে ব্লগিং করতো তখন মানুষ এতো সময় ব্যয় করতো না, আর না এতে রিসার্চ করে লিখতে হতো। কিন্তু যখন থেকে মানুষ জানতে পেরেছে লেখা-লেখি করে টাকা আয় করা যায়, তখন থেকে মানুষের পরিশ্রম ও বেড়েছে। তবে সবাই পরিশ্রম করেও কোন ফল পাচ্ছেন না।

এটি এমন একটি জায়গায় যেখানে মানুষ জ্ঞানকে অনলাইনের মাধ্যমে শেয়ার  করে টাকা উপার্জন করা যায়। আবার বেশি ভাগ মানুষ এই জায়গায় থেকে তারা অনেক জ্ঞানঅর্জন করে থাকে।

আপনার যদি কোনো বিষয়ের প্রতি জ্ঞান থাকে এবং সেই জ্ঞানকে এই অনলাইনের প্লাটফর্মে শেয়ার করে টাকা আয় করে আপনার ক্যারিয়ার স্থাপন করতে পারবেন। 

আপনি ব্লগে লেখালেখি করার আগে এই জায়গায় সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। তারপর আপনি ব্লগে সফল হতে পারবেন এবং সেই ব্লগ পাবলিশ করে মানুষের কাছে পরিচিত লাভ করতে পারবেন। আপনার যদি ব্লগে লেখালেখি করার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনার জীবনের সফলতা আসবে। ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায়।

আপনাকে জানতে হবে ব্লগ কি। ব্লগ কিভাবে বানাবেন। ফ্রি কিভাবে ব্লগ তৈরি করা যায়। ব্লগে কিভাবে ভিজিটর বৃদ্ধি করা যায়। ব্লগে কোন কোন বিষয় গুলো ভুল করলে আপনার ব্লগের ক্যারিয়ার ব্যর্থতার কারণ হতে পারে। এইসব বিষয় গুলোর উপর পুরোপুরি জ্ঞান বা ধারণা রাখতে হবে।

আর দিন দিন মানুষ অনলাইন নির্ভর হয়ে যাওয়া এর সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। বর্তমান সময়ের এই জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের মাধ্যমটি আপনিও বেছে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে বা আপনার বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন। 

আমাদের আজকের আলোচনায় থাকবে ব্লগ কি। কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন তার বিভিন্ন মাধ্যম সম্পর্কে জানবো।

পেইজ সূচিপত্রঃ-

ব্লগ কি বা ব্লগ কাকে বলে । ব্লগ দিয়ে ইনকাম করার উপায়।

ব্লগ এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো অনলাইন ডায়েরি। যে ডায়েরি ইউজারের সমস্যা দূর করার জন্য লেখা হয়ে থাকে তাকে ব্লগ বলে। 

এটি এমন একটি ডায়েরি যেখানে আপনি আপনার মতো যা খুশি লিখতে পারেন। আপনি এখানে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কোর্স, রেসিপি, আর্টিকেল  বা যেকোনো জিনিসের বিষয়ে লিখতে পারবেন। 

ব্লগিং হচ্ছে কেউ যদি নির্দিষ্ট একটি জিনিস বা বিষয়ের উপর ভালো জ্ঞান রাখেন, এবং সেই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লেখালেখি করে সেই জ্ঞান মানুষের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং হচ্ছে এমন একটি জায়গায় যেখানে যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখা যায়। তবে ব্লগের মধ্যে আপনি যেকোনো বিষয়  লিখে পাবলিশ করলে হবে না। সে-ই ব্লগের আর্টিকেল ইউনিক কন্টেন্ট হতে হবে।

আরো সহজভাবে বলতে গেলে, আমরা যেমন ডায়েরি ব্যবহার করি এবং ডায়েরির মধ্যে আমাদের নিত্যদিনের কাজকর্ম, ইনফরমেশন এইসব তথ্য লিখি থাকি। ঠিক তেমনিই ব্লগ হল অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান শেয়ার করার তৈরি একটি ডায়েরি। 

ব্লগার কি। ব্লগ লিখে আয় করুন বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে।

ব্লগ সাইট হলো এমন একটি ওয়েবসাইট বা পেজ যেখানে একজন ব্যাক্তি যেকোনো কিছু লিখতে পারে। আমরা যেভাবে ফেসবুকে লেখালেখি করি এবং নিজের মনের কথা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি ঠিক তেমনি ব্লগারের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে লিখতে পারি।

ব্লগার গুগোলের দ্বারা নির্মিত এমন একটি ফ্রি ওয়েবসাইট যার ব্যবহার করে নিজের একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। এবং তার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ব্লগার হলো তিনি, যিনি অন্যদের সাহায্য করার জন্য নিজস্ব একটি ব্লগ বানিয়ে, সেটিতে আর্টিকেল লেখা, কাস্টমাইজড করা, গুগলে প্রকাশ করা, ডিজাইন করা, টপিক নির্বাচন করা এই সমস্ত কিছু কাজ করে থাকেন।

ব্লগার হলো সেই ব্যক্তি যার নিজস্ব ব্লগে যে সমস্ত কাজ গুলি করেন সেগুলিকে ব্লগিং বলা হয়। যেমনঃ- কোন আর্টিকেল লেখা, আর্টিকেলটি সুন্দর করে ডিজাইন করা, অন্য আর্টিকেলে লিংক সুন্দর করে যোগ করা ইত্যাদি কাজ গুলোকে একত্রে যোগ করে সুন্দর করে সাজিয়ে পাবলিশ করাকে ব্লগিং বলা হয়। 

যেহেতু আমি একজন ব্লগার। কেউ যদি আমাকে বলে আপনি কি করেন তাহলে আমার উত্তর হবে আমি একজন ব্লগার। আমি ব্লগিং করি তাই আমি ব্লগার।

ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়? ব্লগ লিখে আয় করুন বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে।

ব্লগ থেকে আয় করার জন্য ব্লগে ট্টাফিক আসতে হবে। মনে করেন আপনি মিরপুরে একটি শপিং মহলে কাপড়ের দোকান দিলেন, আপনার দোকানে প্রচুর কাপড় রাখলেন আবার দোকানের সার্ভিসও ভালো। কিন্তু আপনার দোকানে কোন কাস্টমার আসতেছে না। তাহলে আপনি কিভাবে আয় করবেন। 

এতকিছু করার পরও কেন ক্রেতা আসতেছেনা। এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। আমি দুটি কারণ আলোচনা করব।

  1. আমার দোকান কোন শপিং মহলে আছে লোকজন জানে না।
  2. আপনার দোকানে যেসব কাপড় আছে তার চাহিদার সম্পর্কে লোকজন জানে না।
  3. আপনার ব্লগে ভিজিটরস না আসার প্রথম কারণ হলো এসইও এবং মার্কেটিং দায়ী করা যায় ।
  4. আপনার ব্লগ যদি গুগলে ভালো অবস্থান তৈরি করতে না পারে, আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করা না যায় তাহলে লোকজন জানতে পারবে না।
  5. আপনার ব্লগে নিয়মিত এসইও অপটিমাইজড আর্টিকেল পাবলিশ করা। 

ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায়সমূহ। ব্লগ লিখে আয় করুন বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে।

ব্লগার থেকে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। তবে টেক নিশ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য আয়ের উৎস বাকী সবার থেকে বেশি। আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেইকাজ গুলো করা সবার পক্ষেই সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে আয়ের মাধ্যম

ব্লগ থেকে আয় এবং বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক এক অপরের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। আপনি জানেন যেকোনো ব্লগ থেকে আয় করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য  এবং সহজ উপায় হলো বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা।

ব্লগে কোন বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কে অনুমোদন পেলেই আর কোন কাজ করতে হবে না। অ্যাড কোম্পানি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনার একাউন্টে টাকা জমা  করতে থাকবে।

নেটওয়ার্কগুলো হলোঃ-

google AdSense

Ezoic.com

media.net

Google AdSense/ গুগল এ্যাডসেন্স

গুগল এ্যাডসেন্স হলো ব্লগ লিখে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় । গুগলের বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্লগ থেকে আয় করার জন্য গুগল এ্যাডসেন্স Approval প্রয়োজন। প্রথমে আপনাকে গুগল এ্যাডসেন্স  Approval পাওয়ার জন্য আপনাকে গুগল এ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলার পর আপনার ব্লগের জন্য আবেদন করতে হবে।

আপনি যদি ব্লগটির এ্যাডসেন্স পেতে চান তাহলে আপনাকে সব নিয়ম-নীতি মেনে আপনি যদি ব্লগ শুরু করেন । তাহলে গুগল এ্যাডসেন্স Approval খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। আপনি গুগল এ্যাডসেন্সের Approval পেয়ে গেলে আপনি এ্যাডসেন্স একাউন্ট থেকে বিভিন্ন Ads units তৈরি করে, সেই Ads আপনার ব্লগে  display  করতে পারবেন । আপনি ব্লগের উপর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেই ব্লগ সাইট থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গুগল এ্যাডসেন্স এ্যাড এর উপর আসা ক্লিক এবং impression  ব্লগের জন্য payment দিবে। এই টাকা আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে সরাসরি উত্তোলন করতে পারবেন। 

আপনি ব্লগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যাড ডিসপ্লে করতে পারবেন। যেমনঃ- image, ads video ads, text ads, link ads.

আরো পড়ুনঃ- জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস, ম্যাসেজ, ছন্দ, উক্তি। জুম্মা মোবারক ক্যাপশন

আপনি ব্লগে কোন ধরনের অ্যাড ডিসপ্লে করবেন সেই কনট্রোল আপনার কাছে থাকবে।

আপনার ব্লগে যখন লোকেরা আর্টিকেল পড়তে আসবে তখন লোকেরা এই অ্যাডগুলোতে ক্লিক করলে আপনার এ্যাডসেন্স একাউন্টে কিছু পরিমাণ টাকা আর্নিং হবে।

এই টাকা যখন একটু একটু করে ১০০ ডলার হবে তখন আপনার একাউন্টে গুগল এই টাকা ট্রানস্ফার করে দিবে।

গুগল বিশ্বজুড়ে বিশ্বাসী একটি জায়গায়। অনেক ব্লগাররা এ্যাডসেন্স এর উপর নির্ভর করে আর্নিং করে থাকেন। আপনি গুগল এ্যাডসেন্স থেকে আনলিমিটেড আর্নিং করতে পারবেন। কিন্তু তারজন্য আপনাকে প্রচুর ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে। আপনার ব্লগে যত দর্শক আসবে আপনার ইনকামও বেশি হবে।

তাই আপনাকে আপনার ব্লগের দর্শকের পরিমাণ বাড়াতে হলে আপনাকে ইউনিক কন্টেন্ট এবং ভালো আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। তাইলে সেই আর্টিকেলটি গুগলে সার্চ করলে গুগলের প্রথম পাতায় পাওয়া যাবে এবং আপনার ব্লগে ভিজিটরের পরিমাণ বেড়ে যাবে। 

ইজোয়িক । ব্লগিং করে আয়ের বিভিন্ন পথ।

তবে ইজোয়িক এই গুগল এ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম বেশি হয়। সমস্যা হলো এই নেটওয়ার্কেই Approval পাওয়ার জন্য ট্টাফিক প্রয়োজন। আপনার এই নেটওয়ার্কে এ্যাডসেন্স Approval পেতে হলে মাসে আপনাকে ব্লগে দশ হাজার ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে। এ্যাডসেন্স অটো এ্যাড সাধারণত যেখানে ফাঁকা পায় সেখানেই বিজ্ঞাপন বসিয়ে দেয়। কিন্তু এ্যাডসেন্সের সাথে ইজোয়িকের পার্থক্য হলো আপনি ইজোয়িকের বিজ্ঞাপনগুলো নিজের মতো করে কন্ট্রোল করতে পারবেন ।

আর অন্যদিকে গুগল এ্যাডসেন্সের কারণে ব্লগ সাইটের স্পিড কমে যায়। যার কারণে পেইজ ভিউ কমে যাওয়া বাউন্স রেট বেড়ে যায়। কিন্তু ইজোয়িক এ্যাড ব্যবহার করলে সাইট স্পিড বেড়ে যায়। এতে করে পেইজ ভিউ প্রচুর হয়।

Media.net / ব্লগ লিখে আয় করুন বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে 

Media.net হলো ইয়াহু এবং বিং দ্বারা পরিচালিত মিডিয়া ডট নেট সরাসরি এ্যাডসেন্স প্রতিযোগীতার জায়গা। এটি বিশ্বের বড় বিজ্ঞাপন  নেটওয়ার্ক গুলির মধ্যে একটি। এটি সারা পৃথিবীতে ব্লগাররা ব্যবহার করে। 

এটি থেকে আপনি প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন গুলো contextual ads আপনাকে অধিক উপার্জনের সুযোগ দিবে। তাছাড়া ইয়াহু এবং বিং থেকে আরো বেশি ট্রাফিক পাঠানোর কাজটা তারা নিজেরাই করে।

আরো পড়ুনঃ- ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেটের আবিষ্কারক। ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা কি।

আপনি এখান থেকে আরো সুবিধা পাবেন, মিডিয়া ডট.নেট অনুমোদন পেলে আপনাকে একজন ব্যক্তিগত পরামর্শ দাতা দেওয়া হবে। যার সাথে আপনি যেকোনো সমস্যা এবং সমাধানের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। আবেদন করার দুই দিনের পর আপনাকে জানিয়ে দিবে অনুমোদন পাচ্ছেন কিনা। তবে মিডিয়া ডট. নেট এর একটা সমস্যা আছে তাদের শর্ত হলো বাংলা কন্টেন্ট অনুমোদন পাবে না। তাদের পলিসিতে আছে বেশিরভাগ ভিজিটর আসতে হবে আমেরিকা, কানাডা, এইসব দেশ থেকে।

এখান থেকে আপনি টাকা পাবেন ১০০ ডলার হলে পেপাল বা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো বাংলায় ব্লগ লিখে আয় করার দ্বিতীয় উপায়। বর্তমানে অধিকাংশ ব্লগাররা গুগল অ্যাডসেন্সের পরিবর্তনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে বেশি পছন্দ করে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে প্রথম একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে নিজের ব্লগ থেকে গুগল অ্যাডসেন্সের সমপরিমাণ বা তার বেশি টাকা আয় হতে পারে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেট সম্পর্কে আমরা জানবো।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো বিশিষ্ট মানুষের সাথে জড়িত হয়ে তার এক বা একাধিক প্রোডাক্ট আপনি যদি নিজের ব্লগে বা অন্য প্লাটফর্মে কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করেন তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। 

এখানে আপনার ব্লগ থেকে কোন গ্রাহক কোন ভিজিটর সেই প্রচার থেকে কোন কিছু ক্রয় করে তাহলে সেই কোম্পানি বা সেই মানুষ আপনাকে তার পরিবর্তে কিছু টাকা কমিশন দিবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বাংলা ব্লগ লিখে আয় করবার জন্য অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট বানানোর পর, ই- কমার্স প্লাটফর্ম থেকে আপনার ব্লগের সাথে মিল রেখে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করুণ। তারপর এই লিংকটি আপনার ব্লগের আর্টিকেলের মাধ্যমে দিয়ে দিন।

ই-কমার্স অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম  - amazon,flipkart,vcommission,makemytrip affiliate,ebay affiliate

আরো পড়ুনঃ-  ইনস্টাগ্রাম কি? ইনস্টাগ্রামের টিপস। প্রফেশনাল ইনস্টাগ্রাম খোলার নিয়ম 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনি এক বা একাধিক কোম্পানির সাথে জড়িত হতে পারবেন। পৃথিবীতে ছোট-বড় অনেক কোম্পানি আছে এই মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর সাথে জড়িত। 

আপনি তাদের প্রোডাক্ট নিজের ব্লগে প্রচার করে আপনি সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। 

ধরুন, আপনি দারাজ অ্যাফিলিয়েট প্রোগামে আপনি জয়েন হলেন, এবার দারাজ থেকে কোনো ব্যক্তি একটি মোবাইল আপনার ব্লগে দেওয়া অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে ক্রয় করলো।

যেহেতু সেই ব্যক্তি আপনার ব্লগে দেওয়া লিংক থেকে করেছে তাই দারাজ আপনাকে তার কিছু কমিশন দিবে। এইভাবে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে যত বেশি Sale হবে, আপনি ততবেশি আয় করতে পারবেন। 

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়

আপনি একটি ব্লগিং ওয়েব সাইট তৈরি করতে পারলে এবং করার পর ব্লগিং সাইটকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে আপনি হাজার হাজার উপায়ে আয় করতে পারবেন। 

বর্তমান যুগে ফিজিক্যাল প্রোডাক্টের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রডাক্টের অভাব নেই। তাই আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্লগ থেকে সহজেই কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

আপনি বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল পণ্য যেমনঃ- ঘড়ি, ফোন, রেডি ওয়েবসাইট, ব্লগ থিম, ই-বুক, সফটওয়্যার ও গেমস ইত্যাদি। যে সব পণ্য হাতের কাছে পাওয়া যায় না, সেই সকল পণ্য আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারবেন। 

প্রোডাক্ট প্রমোশন 

যদি আপনার ব্লগে ভালো পরিমাণ ট্রাফিক আসে তাহলে আপনি আর একটি উপায়ে আয় করতে পারেন। আপনি লোকাল এরিয়া যেসব বিজনেস বা কোম্পানি গুলো আছে তাদের অ্যাডগুলো আপনার ব্লগে ডিসপ্লে করে করতে পারবেন। 

এখানে আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় করতে হবে না। আপনি শুধু কোম্পানির দেওয়া প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন গুলি আপনার ব্লগে অ্যাড করে দিবেন। যার বিনিময়ে কোম্পানি আপনাকে টাকা দিবে।

আপনার আশেপাশে যে বিজনেস বা কোম্পানি গুলো আছে তাদের ইমেইল বা ফোন নাম্বার দ্বারা যোগাযোগ করতে পারেন। কারণ তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনি আপনার ব্লগে প্রমোশন করতে পারবেন। 

কোর্স তৈরি করে আয় 

বর্তমান প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকার তিনটি উপায় হল স্কিল, তারপরে স্কিল আবার তারপরেও বলব স্কিল। আপনার জীবনে ক্যারিয়ার যদি সফলতা অর্জন করতে চান হার্ড স্কিল অর্জন করার বিকল্প নাই। 

আপনার যদি এমন প্রয়োজনীয় স্কিল থাকে এবং মানুষের উপকার আসবে। আপনার এই স্কিল মানুষের কাছে শেয়ার করার জন্য বেছে নিতে পারেন আপনার ব্লগ সাইটকে।

আপনার কোর্স ফি যদি ৫০০টাকা হয় এবং আপনি যদি মাসিক মাত্র ১০০ জন স্টুডেন্ট পেলেও আপনার মাসিক ইনকাম হবে ৫০০০০ হাজার টাকা।

অনলাইন কোর্স অফার করে অনেকেই টাকা আয় করতেছে। অনলাইন কোর্সের উপর দাঁড়িয়ে আছে অনেক ব্লগ এবং ওয়েবসাইট। 

আপনাদেরকে কিছু অনলাইন কোর্সের আইডিয়া নিচে দেওয়া হল।

  • এসইও কোর্স
  • গুগল অ্যাডসেন্স কোর্স
  • ইংলিশ আর্নিং কোর্স
  • কম্পিউটার ব্যাসিক
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 
  • ওয়েব ডিজাইন 
  • গ্রাফিজ ডিজাইন 
  • 3D Max
  • 2D Animation 
  • ভিডিও এডিটিং 
  • ইউটিউব কোর্স

ব্যানার অ্যাড প্রকাশের মাধ্যমে

আপনি একটি ব্লগ লিখছেন এবং আপনার ব্লগে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে এবং আপনার ব্লগ পড়ে। 

এই যে আপনার ব্লগে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে এবং আপনার ব্লগ পড়ে এর জন্য বিভিন্ন কোম্পানি অথবা এজেন্সি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যানার দিতে চাইবে।

এখন আমি যদি তাদের এড আমার ব্লগ সাইটে প্রকাশ করি তাহলে সেই এজেন্সি বা কোম্পানি আমাকে কিছু টাকা অফার করবে। এই পেমেন্টের টাকা কিন্তু কম নয়।

গেস্ট ব্লগিং 

নতুন ব্লগাররা ডোমেইন অর্থরিটি এবং জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্লগ থেকে ব্যাংকলিংক নেওয়ার জন্য গেস্ট ব্লগিং করে থাকে। মূলত তারা আপনার ব্লগের জন্য একটি আর্টিকেল লিখবে এবং সেখানে তার সাইটে একটি লিংকযুক্ত করবে।

আপনার ব্লগ থেকে পাওয়া একটি লিংক তার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি এর বিনিময়ে টাকা চার্জ করতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি আপনার ব্লগের জন্য স্পন্সর পোস্ট। 

পেইড রিভিউ

যারা টেকনোলজি নিশ কিংবা রিভিউ টপিক নিয়ে যারা ব্লগিং করেন এবং ব্লগিং লিখেন তাদের ব্লগিং করে টাকা আয় করার একটি ভাল উপায়। অনেক অনলাইন শপ, ফেসবুক শপ থেকে প্রোডাক্ট রিভিউ করার জন্য যোগাযোগ করে।

তাদের প্রোডাক্টগুলো রিভিউ করে ট্টাফিকদের জন্য একটা লিংক দিতে হয়। এই লিংকের জন্যই আপনাকে টাকা দিবে। 

অনলাইন সার্ভিস

আপনি যদি কোন অনলাইন সার্ভিস দিতে চান, তাহলেও ব্যবহার করতে পারেন আপনার ব্লগটিকে। যেমন অর্ডিনারি আইটি.কম ব্লগের পাশাপাশি এসইও আর্টিকেল অর্ডার নিয়ে বিক্রি করছে। অর্ডিনারি আইটি আরো বেশি অনলাইন সার্ভিস দিয়ে থাকে যেমন ব্লগ থিম, গুগল অ্যাডসেন্স গাইড ইত্যাদি। 

ডোনেশন কন্টেন্ট বা পেইড কন্টেন্ট 

পেইড কন্টেন্ট সব ক্ষেত্রে করা যায় না। যে সব ক্ষেত্রে আপনি ডোনেশন কন্টেন্ট বা পেইড কন্টেন্ট লিখতে পারেন তার মধ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য,  শিক্ষা, টেকনোলজি ইত্যাদি সহ অনেক পেইড কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।

আমার ব্লগটা পড়ার জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। কিন্তু অনেক পেইড কন্টেন্ট এর ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা পেইড করার পর পড়তে পারেন।

কিন্তু এখন পেইড কন্টেন্ট লিখে আয় করাটা তেমন সম্ভব না তার পরেও এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে অনেক পেইড কন্টেন্ট আছে এবং মানুষ টাকা দিয়ে সেই সব কন্টেন্ট পড়ে।

লোকাল বিজ্ঞাপন / স্পনসর্শিপ থেকে আয় 

ব্লগ থেকে টাকা আয় করার অন্যতম মাধ্যম হল লোকাল বিজ্ঞাপন। বিভিন্ন কোম্পানি এবং তাদের প্রতিষ্ঠান প্রচারের জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় প্লাটফর্মে লোকাল বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।

আপনি এই উপায়ে ব্লগ থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনার ব্লগে অনেক ট্রাফিক থাকতে হবে। আপনার ব্লগে লোকাল বিজ্ঞাপনের জন্য প্রয়োজন ব্লগের জনপ্রিয়তা।

ব্যাকলিংক বিক্রয়

ব্যাকলিংক বিক্রয় করেও আপনি ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারেন। যেখানে একটি ব্যাকলিংক এর জন্য আপনি ২০০০ থেকে তার বেশি টাকা পযর্ন্ত চার্স করতে পারেন। 

ব্যাকলিংক হলো অন্য ব্লগারদের ব্লগ লিংক, আপনার ব্লগে Add করা।

যার মাধ্যমে আপনার ব্লগটি র‍্যাক করবে। আপনার ব্লগে প্রচুর ট্রাফিক আসবে। তবে আপনাকে ব্যাকলিংক দেওয়ার জন্য আপনার ব্লগটি বড় হতে হবে। আপনার ব্লগের DA এবং PA যত বেশি হবে, আপনার ব্লগের ব্যাকলিংক এর মূল্য ততবেশি। 

ব্যাকলিংক এর মূল্য নির্ধারণ

DA এবং PA যদি ১০-২০ এর মধ্যে হয় তাহলে ব্যাকলিংক এর মূল্য ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা ধরতে পারবেন।

DA এবং PA যদি ২১-৩০ এর মধ্যে হয় তাহলে ব্যাকলিংক এর মূল্য ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা চার্স করতে পারবেন। 

DA এবং PA যদি ৩১-৫০ এর মধ্যে হয় তাহলে ব্যাকলিংকের মূল্য ৪০০০ থেকে ১০০০০ টাকা চার্স করতে পারবেন এবং DA এবং PA যদি তার বেশি হয় তাহলে আরো বেশি টাকা পাবেন।

চ্যানেল প্রমোট/ ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট

আপনার ব্লগে যদি ভালো পরিমাণ ট্রাফিক আসে তাহলে আপনি ছোট ছোট ইউটিউবারদের ইউটিউব চ্যানেল আপনার ব্লগে প্রমোট করতে পারেন। 

যেখানে আপনি ওই ইউটিউবার এর থেকে কিছু টাকার বিনিময়ে, তার youtuber channel link আপনার ব্লগে দিতে পারেন। যার ফলে ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ এবং Subscriber বাড়ার সাথে সাথে আপনিও আয় করে নিতে পারবেন। 

ব্লগ থেকে আয় শুরু হতে কত সময় লাগে 

ব্লগ থেকে আয় বিশেষ করে বাংলা ব্লগ থেকে আয় করা একটু সময় লাগবে। আর আপনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে চাইলে এক মাসের মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া যায়। 

গুগল অ্যাডসেন্সের ১০০ ডলার না হলে গুগল পেমেন্ট করে না। তাই প্রথমবার টাকা পেতে আপনার তিনমাস সময় লাগবে।

যখন মাসিক ৩০০০০ হাজার বা তার বেশি ট্রাফিক থাকবে আপনার ব্লগে। তখন প্রতিমাসেই আপনার ব্যাংকে টাকা চলে আসবে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়া অন্যান্য উপায়ে আয় করার জন্য আরো বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিমাসে একলাখ ইউনিক ট্রাফিক পাওয়া শুরু হলে আপনি ব্লগ থেকে সব উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

শেষকথা 

ব্লগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন খুবই লাভবান ব্যবসায়। এসবের বাইরেও ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় রয়েছে। তবে এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন মেধা, পরিশ্রম এবং ধৈর্য্য। 

ব্লগে সময় এবং মেধা দিন,  ভবিষ্যতে আপনাকে অর্থ দিবে। আপনারা যদি এর থেকে ভালো উপায় জানেন তাহলে আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর যদি  ভুল হয় আমাকে বলবেন ধন্যবাদ।



পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

অর্ডিনারি আইটি কী?