ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেটের আবিষ্কারক। ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা কি।

বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্মকে অনেক সহজ করে তুলেছে। এমনকি ইন্টারনেট প্রতিনিয়ত আরো সহজ করে দিচ্ছে। ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর বিশাল জাল,যেটা পুরো বিশ্বের কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে আছে। যার ব্যবহারে সারা বিশ্বের ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং প্রজম্মের অনেক অগ্রগতি হতেই আছে। 

বর্তমান পৃথিবী  উন্নত হওয়ার পেছনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে গোটা বিশ্ব ধীরে ধীরে ডিজিটাইজড হচ্ছে এই ইন্টারনেটের জন্য। ইন্টারনেট ছাড়া কিন্তুু আমার এক মুহূর্তে চলতে পারিনা। কারণ শিক্ষা ব্যবস্থা যোগাযোগ শিল্প প্রযুক্তি ও বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। 


ইন্টারনেটের অসামান্য অবদানের কারণে আজ সারা পৃথিবী একটি পরিবারের মতো হয়েছে। কিন্তুু আপনারা কি জানেন ইন্টারনেট কী? আপনি কি জানেন কার মাধ্যমে ইন্টারনেট আমাদের কাছে এসেছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট সর্ম্পকিত বিস্তারিত অজানা তথ্য।

পেজ সূচিপত্রঃ-

ইন্টারনেট কি 

ইন্টারনেট দুইটি কথার সমন্বয় যুক্ত একটি ইংরেজি শব্দ। ইথারনেট থেকে ইন্টারনেট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। আপনি কি জানেন ইন্টার অর্থ হলো ভিতরে। আর নেট অর্থ হলো জাল। ইন্টার + নেট এই দুইটি শব্দের অর্থ হলো "অর্ন্তজাল"। যা সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের একটি সহজ পদ্ধতিকে বোঝায়। 

সর্বোপরি ইন্টারনেট হচ্ছে একটি ইন্টারকানেক্টড নেটওয়ার্কের সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গুলোকে একে অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়ে থাকে। ইন্টারনেটকে অনেকে র্শট করে নেট বলে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ- কম্পিউটার কি | কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টসের নাম ও কাজ 

অন্যভাবে বলতে গেলে, অনেকগুলো কম্পিউটারকে একে ওপরের সাথে মুক্ত করে তথ্য আদান প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়ে থাকে । তবে আপনি মনে রাখবেন  ইন্টারনেট নিজেই একটি একক নেটওয়ার্ক নয় । 

পৃথক কম্পিউটার এবং লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক টেলিফোন লাইন বা রেডিও তরঙ্গ বা উচ্চ গতির তারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে ইন্টারনেট । তাই আমরা সহজভাবে বলতে পারি, অনেক গুলো কম্পিউটার  একটি নেটওয়ার্কে মুক্ত করাই ইন্টারনেট। যাকে ইন্টারনেট ওয়াকিংও বলা হয় । 

ইন্টারনেট মানে কি

আপনি কি জানেন ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি? তাহলে চলুন জেনে আসি ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি। ইন্টারনেট  এর পূর্ণ রূপ হলো ইন্টারকানেক্টড নেটওয়ার্ক ( Interconnected network)। Inter শব্দটি এসেছে  Interconnected থেকে আর net শব্দটি এসেছে Network থেকে। ইন্টারনেট এর অর্থ হল পরস্পর সংযুক্ত নেটওয়ার্ক। 

বাংলায় ইন্টারনেটকে অর্ন্তজাল ও বলা হয় । কারণ গোটা বিশ্বে একটা নেটওয়ার্ক জালের মত একে অপরের সাথে বা কোটি কোটি কম্পিউটারের সাথে Connected রয়েছে । 

ইন্টারনেট কাকে বলে

কোটি কোটি কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইসকে একে ওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয় । ইন্টারনেট হলো আধুনিক টেলিযোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক বা মাধ্যম।

যা অপটিক্যাল ফাইবার, টেলিফোন লাইনের তার, ওয়্যারলেস বেতার সংযোগে ব্যবহার করে কম্পিউটার মোবাইলসহ অন্যান্য সকল ডিভাইসকে ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) এর সাথে সংযুক্ত করে। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে। সোজা ও সহজ ভাবে বললে, বিশ্বের সব কম্পিউটার গুলি যেই নেটওয়ার্ক দ্বারা একে আরেকটির সাথে সংযুক্ত হয়ে আছে, সেই নেটওয়ার্কটি হলো ইন্টারনেট। 

আরো পড়ুনঃ- স্মার্টফোনের লক ভুলে যাওয়ার পর আপনার করণীয় 

যখনি আমরা, আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়ে ‍যাই, তখন আমরা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের একটি বিশাল তথ্য ভান্ডারের সাথে সংযুক্ত হয়ে গেছে। এবং একে "Global network " বলা হয়ে থাকে। 

সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমকে উল্লেখ  করা হয় তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষ্য মনে করা হয়। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব  দৈনন্দিন কোন পার্থক্য ছাড়া ব্যবহৃত হয়। তবে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একই নয়।

ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি

আধুনিক ইন্টারনেট প্রথমত ছয় প্রকার । আপনি কি জানেন এই ইন্টারনেটে ছয় ধরণের প্রযুক্তি সিস্টেমে সংযোগ কাজ করে । এই ছয় ধরণের ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি । এই ছয় ধরণের ইন্টারনেট নিচে আলোচনা করা হল ।

  • ডায়াল-আপ ইন্টারনেট 
  • ডিএসএল ইন্টারনেট
  • স্যাটেলাইট  ইন্টারনেট 
  • ক্যাবল ইন্টারনেট
  • ওয়্যারলেস ইন্টারনেট 
  • সেলুলার ইন্টারনেট
  • ইন্টারনেটের আবিষ্কার

ডিনটন জি কার্ফ হলো ইন্টারনেটের জনক। কত সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়, একক কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন নি অনেক বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছে।

পৃথিবীতে প্রথম ইন্টারনেটের সূচনা হয়েছিল ১৯৬০ সালে আরপানেট ( এ্যাডভান্স রিসার্চ এজেন্সি নেটওয়ার্ক) এর হাত ধরে। এটি মূলত আমেরিকার ডিফেন্সের নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ ও একটি নেটওয়ার্ক ছিল। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়।

তবে Bob khan ও vint cerf ইন্টারনেটের কাঠামো তৈরি করেন যা এখনও ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেটের মূল অংশ Tcp / Ip protocol তারা তৈরি করেন Tcp / Ip এর পূর্ণরূপ হল Transmission control protocol / Internet protocol তাদের এই ইন্টারনেটের কাঠামোর উপর নির্ভর করে পরবর্তী কালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়।

আরপানেট ১৯৬৯ সালে The University of California at loss Angeles, The University of California at Santa Barbara, Stanford research Institute এবং University of Utah এই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা -আলাদা কম্পিউটারের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হয় এবং যেকোনো তথ্য এই কম্পিউটার গুলির মধ্যে আদান প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুনঃ- ২০২২ সালে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম - মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি

১৯৭১ সালে আরপানেট আরো কতগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটারের সঙ্গে connect করতে সক্ষম হয় এবং ধীরে ধীরে নেটওয়ার্কের বিস্তার বাড়তে থাকে। 

১৯৪১ সালে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয় যার নাম CSNET ( Computer Science Network) এটি আসার পর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভাইসের সঙ্গে ডাটা Transmit করতে সক্ষম হয়। এইভাবে ইন্টারনেটের বিস্তার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

১৯৮৬ সালে NSFNET নেটওয়ার্ক ডেভেলপন্ট হয়।  এটি National  Science Foundation তৈরি করে। আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সাথে  কানেক্ট করে ডাটা Transmit করাই ছিল প্রধান কাজ। তখন NSFNET ( National science Foundation) এর স্পিড ছিল 56 kbps। ১৯৮৮ সালে একটাকে একটু আপডেট করা হয় এবং  এর স্পিড বেড়ে দাঁড়ায় 1.5 mbps । 

আরো পড়ুনঃ- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম-কন্টেন্ট লিখে টাকা ইনকাম করার উপায় 

১৯৯০ সালে আরপানেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এটি অনেক পুরোনো হয়ে গেছিলো ডাটা ট্রান্সফার এর স্পিড খুবই কম। আরপানেট এর জায়গায় NSFNET কে Replace করা হয়।

Tim Berners-Lee ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (Www) ও এইচটিটিপি আবিষ্কার করেন। এর ফলে অনলাইনে ডাটা আদান প্রদান করা সম্ভব হলো।

ইন্টারনেট আবিস্কারক

  • ইন্টারনেটের জনক কে? 
  • উত্তর / ডিনটন জি কার্ফ।
  • WWW এর অর্থ কি?
  • উত্তর / World wide web.
  •  WWW এর জনক কে? 
  • উত্তর / টিম বার্নাস লি।
  • ই- মেইল এর জনক কে?
  • উত্তর/ রে টমলি সন।
  • ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনের জনক কে?
  • উত্তর / এলান এমটাজ।
  • মোবাইল ফোনের জনক কে? 
  • উত্তর / মারটিন কোপার।
  • কম্পিউটারের জনক কে? 
  • উত্তর / স্যার চালর্স ব্যাবেজ।

ইন্টারনেট এর জনক কে?

ইন্টারনেট আমাদের জীবনে চলার গতিপথকে পাল্টে দিয়েছেন, আমাদের জীবনকে কর্মচঞ্চল ও সহজ করে তুলেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্র ইন্টারনেটের অবদানের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। 

কিন্তুু আমরা কি জানি কে এই ইন্টারনেট আবিষ্কারক যা আমাদের জীবনের গতিপথকে সহজ করে তুলেছে। যাকে আমরা ইন্টারনেটের জনক হিসেবে চিনি তার না হলো ডিনটন জি কার্ফ তবে এই বিশাল নেটওয়ার্ক এর অর্ন্তজাল ইন্টারনেট একদিনে তৈরি হয়নি, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাতদিন কাজ করে ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছে।

ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার

ডিজিটাল ই-কমার্সঃ- বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা বলতে ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যার সাহায্যে সহজেই যেকোনো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে কাঙ্ক্ষিত পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব। 

সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ- ইন্টারনেটের অবদানে আমাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা মুহূর্তের মধ্যেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারি। 

অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষাঃ- ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারি। আবার দিনে দিনে অনলাইনে সকল তথ্য খোঁজার চাহিদা বেড়ে চলেছে। যার মূল কারণ বিভিন্ন প্রকাশন ও ব্লগাররা তাদের সাইটে সকল জ্ঞান মূল তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করে আবার গুগল, ইউটিউব শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উপকারে আসছে।

আরো পড়ুনঃ- মোবাইল নাম্বার দিয়ে কারো পরিচয় কিভাবে বের করবেন তার উপায় 

নতুন তথ্য অনুসন্ধানঃ- বর্তমানে আমরা খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে গুগল ইউটিউব, কোরা,ফেইসবুক অন্যতম।

সর্বশেষ আপডেট খবরঃ- ইন্টারনেট ব্যবস্থার ফলে এখন মুহূর্তের মধ্যেই যেকোনো খবর ঘরে বসেই বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল অনলাইন টিভি, ইউটিউব, ফেসবুক টিভির মাধ্যমে তাড়াতাড়ি জেনে নিতে পারি। আবার সাথে সাথে আমাদের মতামতও তুলে ধরে নিতে পারি।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করেঃ- বর্তমানে পৃথিবীতে দুই রকম ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। প্রথম স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। 

দ্বিতীয় সমুদ্রের মধ্যে যে ( Fiber Optics cable) বিছানো রয়েছে তার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ৯০% ইন্টারনেট পেয়ে থাকি আমরা সমুদ্রের মধ্যে যে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল রয়েছে সেখান থেকে আর ১০% ইন্টারনেট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। আমরা প্রায় প্রত্যেকেই অপটিক্যাল ফাইবার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। এর মাধ্যমেই ডাটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় Transmit করা হয়।

আপনার মোবাইলে তো ইন্টারনেট ক্যাবল সংযোগ করা হয় নাই। তাহলে আপনারা কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এর উত্তর হচ্ছে আপনার এলাকায় যে মোবাইল টাওয়ার রয়েছে তার সাথে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ থাকে। এইটা আবার অপটিক্যাল ফাইবার থেকে আসা সিগন্যালকে Electromagnetic Signal এই convert করে। এইভাবেই আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক পৌঁছে যায়।

ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে

  • বন্ধু করতে পারি, বন্ধু সাথে আড্ডা দিতে পারি, গল্প গুজব করতে পারি।
  • ফেসবুক ইউটিউব অনলাইন টিভি দেখে অবসর সময় কাটাতে পারি।
  • কেনাকাটা করতে পারি, অনলাইনে যেকোনো পণ্যের অর্ডার দিতে পারি।
  • তথ্য খুঁজতে পারি, তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, তথ্য পাঠাতে পারি।
  • ই-মেইলে যেকোনো ফাইল ডকুমেন্টস ও ছবি পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারি।
  • ঘরে বসে অফিসের সকল কাজ কর্ম করতে পারি।
  • ঘরে বসে ভিডিও সভা ( ভিডিও কনফারেন্স) করতে পারি।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা

তথ্যভান্ডারঃ- ইন্টারনেট হল একটি বিশাল তথ্যের ভান্ডার। 

সর্বদা উপলব্ধঃ- দিন থেকে বা রাত ইন্টারনেট সর্বদা উপলব্ধ।

দ্রুতঃ- তথ্যবিনিময়ের দ্রুততম এবং সর্বোত্তম উপায়। 

তথ্যের সহজলভ্যতাঃ- ইন্টারনেটের সাহায্যে কম পরিশ্রমে সহজে যেকোনো তথ্য বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যায়। ইন্টারনেট ছাড়া আর অন্য কোনো মাধ্যমে থেকে এতসহজে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।

ব্যবহার করা সহজঃ- ইন্টারনেট অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে। এখন আমাদের অনেক কাজ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করে ফেলতে পারি। 

অনলাইন শিক্ষাঃ- আপনি ঘরে বসে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এবং বিশেষজ্ঞদের কাজ থেকে অনলাইন শিক্ষা নিতে পারেন।

অনলাইন মিটিংঃ- আপনি আপনার সহকর্মী এবং কর্মচারীদের সাথে অনলাইন মিটিং করতে পারেন, এতে সময় বাঁচবে এবং  উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। 

অনলাইন টাকাঃ- আপনি ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

বিনামূল্যে তথ্যসংগ্রহঃ- খুব সামান্য অর্থ ও সময় ব্যয় করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। 

দুর্লভ তথ্যপ্রাপ্তিঃ- ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ধরণের অনলাইন লাইব্রেরি থেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ তথ্য যুক্ত সকল বইয়ের কপি, অনলাইন আর্কাইভ থেকে আসল রিপোর্টের কপি প্রভৃতি বই পিডিএফ আকারে সংগ্রহ করে ডিজিটাল বই হিসাবে সংগ্রহ করে পড়া যায়। 

সকল প্রশ্নোত্তরঃ- যেকোনো কাজের তথ্যসংগ্রহ করতে  গিয়ে আপনার মনে কোনো প্রশ্ন আসলে অনেক সময় ইন্টারনেটে সেই প্রশ্ন লিখে সার্চ করলেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়। 

ইন্টারনেটের অসুবিধা

স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবঃ- সারাদিন কম্পিউটার এবং মোবাইলে ব্যস্ত থাকার কারণে স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব আজকাল দেখা যাচ্ছে। 

ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারঃ- কখনও কখনও আমরা এমন একটি ওয়েবসাইট পরিদর্শন করি যেখান থেকে কিছু ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড হয়। যা আমাদের কম্পিউটার মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি ক্ষতি করতে পারে। 

নির্ভরযোগ্যতাঃ- একই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে পৃথক পৃথক তথ্য থাকায় পাঠক বা গবেষকদের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

মনগড়া তথ্যঃ- ইন্টারনেটে আজকাল যে কেউ নিজের মনগড়া ভুল তথ্য আপলোড করতে পারে বা করে থাকে।

হ্যাকিংয়ের বিপদঃ- যদি আপনার কম্পিউটার হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনি অনেক রকমভাবে ক্ষতিগস্ত হতে পারেন, আপনার সমস্ত ডেটাচুরি হতে পারে এবং  সেগুলি ভুলভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

প্রতারণার শিকার হওয়াঃ- ইন্টারনেট যেমন আমাদের সুবিধা করে দিয়েছে তেমনি অনেক রকম ভাবে প্রতারিত হওয়ার  পথ ও খুলে দিয়েছে। 

গবেষণার মান হ্রাসঃ- ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য  ব্যবহার করতে গিয়ে পাঠকও গবেষগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ফলে গবেষণার গুণগত মান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

তথ্যের অসম্পূর্ণতাঃ- বহু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে বই বা গবেষণার অংশবিশেষ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পাঠকেরা সমস্যার সম্মুখীন হন।

ইন্টারনেট এর ৫টি উপকারিতা

  • ব্যবহারকারীদের খবর, তথ্য এবং বিনোদন ( সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, গেম) তাড়াতাড়ি অ্যাক্সসে পাওয়া যায়। 
  • লোকেরা অনেকগুলি অনলাইন স্টোরের মধ্যে থেকে একটিতে গিয়ে ইন্টারনেটে কেনাকাটা করতে পারেন।
  • অনলাইন শপিং - ২৪ ঘন্টা পরিষেবা এবং খুব প্রতিযোগিতামূলক মূল্য অফার করে গ্রাহকদের জন্য কোনো মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই অনলাইন শপিং করা যায়। 
  • এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে লোকেরা তাদের জীবনের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে পারছেন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই নিজেদের আরো অনেক বেশি উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। 
  • নিজেদের সফলতাকে দুনিয়ার সামনে প্রকাশ করছেন।

ইন্টারনেট এর ৫টি অপকারিতা 

  • স্বাস্থ্যের ক্ষতি 
  • অলসতা বৃদ্ধি 
  • মেধা শূন্যতা
  • অশ্লীলতা বৃদ্ধি 
  • শিশুদের ক্রাইম
  • শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার
  • অনলাইনে শিক্ষা দান
  • ভিডিও ক্লাস লাইভ ক্লাস 
  • অজানা বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান  অর্জন
  • ডিজিটাল পদ্ধতিতে জ্ঞান অর্জন
  • সৃজনশীলতা বৃদ্ধি হওয়া

ইন্টারনেট এর ব্যবহার

  • ই- লানিং বা অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অনেক প্রয়োজনীয়।
  • অফিশিয়াল কাজ ভার্চুয়ালি ঘরে বসে করার জন্য ইন্টারনেট অনেক প্রয়োজনীয়।
  • গবেষণার মূল তথ্য খুঁজতে নতুন গবেষণার ফলাফল জানতে ইন্টারনেট কাজে লাগাতে পারি।
  • ই- কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা করতে বা ব্যবসার প্রসার করতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি।
  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। 
  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে কেনাকাটা বা ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া যায়। 
  • প্রতিদিন নতুন  নতুন কিছু শিখতে চাইলে ইন্টারনেটের অনেক প্রয়োজন।
  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা যেকোনো অচেনা স্থান থেকে ম্যাপ দেখে ফিরে আসতে ও যেতে পারি। 
  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের সকল ভাষা  অনুবাদ করে পড়তে ও বুঝতে পারি।

পরিশেষে বলতে পারি 

আশা করি ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কাকে বলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ইন্টারনেটের ব্যাপক তথ্য ভান্ডার থেকে আপনি আপনার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন, সঠিক বিষয়টি শিখার মাধ্যমে। আর যদি আমার ভুল হয় কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ







Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url