প্রফেশনাল ব্লগসাইট বানানোর নিয়ম। আয় করবেন যেভাবে। ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর নিয়ম

আপনি কি ব্লগার হতে চান। আপনি কি সফল ব্লগার হতে চান। আপনি কি ব্লগারে ব্যর্থ হওয়ার কারণ জানতে চান। আপনি কি ব্লগিং থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান, আপনি যদি ফ্লি ব্লগ সাইট বানাতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি যদি নিজের স্বাধীন অনুযায়ী কাজ করতে চান তাহলে আপনি নিজের নামে ব্লগ তৈরি করে উপার্জন করতে পারেন।


তাহলে আপনি কি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি নিয়ে থাকেন তাহলে এখন আপনি ভাবছেন কিভাবে ব্লগসাইট একাউন্ট খুলবেন। তাহলে আমি বলবো আপনি চিন্তা করবেন না। আমি আপনাদের একটি প্রফেশনাল ব্লগ সাইট তৈরি করার ধাপ গুলো বলবো এবং  আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। পাশাপাশি আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা একজন নতুন ব্লগারের অবশ্যই জেনে ব্লগিং শুরু করা উচিত। 

পেজ সূচিপত্রঃ-

ব্লগার বনাম ওয়ার্ডপ্রেস

আমরা অনেক সহজে blogger.Com বা WordPress. Org দ্বারা একটি নিজের জন্য  ব্লগ বানিয়ে নিতে পারি। এই ব্লগ সাইটটি আপনি কারো সাহায্য ছাড়াও বানিয়ে নিতে পারবেন। আপনাকে শুধু টুলস গুলোর পরিচয় জানতে হবে এবং কোন টুলস কি কাজ করে সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস একটু আলাদা সাইট তাই ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম  একটু আলাদা এবং ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট খোলার জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। গুগলের প্রোডাক্ট এর ব্লগারের দ্বারা আপনি ফ্রিতে কোনো টাকা খরচ না করে আপনি ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলতে পারবেন। তাই আমি আজকের আর্টিকেলটিতে কিভাবে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট খুলবেন ব্লগারের মাধ্যমে তা আমি এই পোস্টে দেখাবো।

প্রথমে আপনাদের ব্লগারে অল্প কষ্ট হতে পারে। কিন্তুু আপনাদের ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে। যখন আপনারা জিনিসগুলো ভালো করে বুঝে যাবেন তখন আপনারা ব্লগিং  এই আনন্দ পাবেন এবং ব্লগিং করে মজা পাবেন।

আরো পড়ুনঃ- ইনস্টাগ্রাম কি? ইনস্টাগ্রামের টিপস। প্রফেশনাল ইনস্টাগ্রাম খোলার নিয়ম 

বর্তমান পৃথিবীতে অনেক মানুষ blogging কে নিজেদের ব্যবসায় বানিয়ে নিয়েছেন এবং এর থেকে টাকা আয় করছেন। আপনিও যদি চান অনলাইনে blogging করে লাভ করতে পারবেন তাহলে আপনি কোন ঝামেলা ছাড়া টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে, আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার পিছনে লেগে থকতে হবে। নিজের কাজের সাথে সাথে blogging এর বিষয়ে শিখতে থাকবেন। এতে করে আপনি blogger এর সফলতা লাভ করতে পারবেন। 

ব্লগার কি 

ব্লগ সাইট হলো এমন একটি ওয়েবসাইট বা পেজ যেখানে একজন ব্যাক্তি যেকোনো কিছু লিখতে পারে। আমরা যেভাবে ফেসবুকে লেখালেখি করি এবং নিজের মনের কথা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি ঠিক তেমনি ব্লগারের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে লিখতে পারি।

ব্লগার গুগোলের দ্বারা নির্মিত এমন একটি ফ্রি ওয়েবসাইট যার ব্যবহার করে নিজের একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। এবং তার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ- টুইটার কি?  মোবাইলে প্রফেশনাল টুইটার একাউন্ট খোলার নিয়ম 

আমরা ব্লগ বলতে বুঝি একটি আধুনিক ডায়েরির পাতা। যেখানে আমাদের জীবনের সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকি। এই ডিজিটাল ডায়েরির পাতায় একজন ব্লগার তার নিজস্ব মতামত, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান অনলাইনে পাবলিক করার মাথ্যমে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগ তৈরি করবেন

আমাদের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে ব্লগ তৈরি করবেন। তবে এর আগে আমরা জানি যে আপনি কেন ব্লগার হবেন। আপনি যদি ব্লগার হন তার সুবিধা কি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন। 

আয়ঃ- আপনি একটি ব্লগ বানিয়ে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। আধুনিক যুগে অনেক লোক আছে যারা ব্লগিং করে অর্থ ইনকাম করে। আর আপনি যদি ব্লগারকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে আপনি ব্লগার তৈরি করে ফেলুন। আপনি ব্লগ থেকে ভালো আয় করতে পারবেন। 

লেখার অভ্যাসঃ- আপনি যদি ব্লগিং করে লেখার উন্নতি করতে পারেন। আপনার যদি লেখার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি ব্লগিং করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ- টুইটার থেকে আয় | প্রফেশনাল কম্পিউটার  দিয়ে টুইটার একাউন্ট খোলার নিয়ম 

জ্ঞান অর্জনঃ- আপনি যত বেশি অন্যদের কাছে আপনার জ্ঞান শেয়ার করবেন ততো বেশি আপনার জ্ঞান বাড়বে। যদি আপনার কোন বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে ঐ টপিক নিয়ে আপনি অন্যদের কাছে আপনার জ্ঞান শেয়ার করতে পারবেন। 

ব্লগসাইট খোলার আগে তার কিছু তথ্য

ব্লগসাইট একাউন্ট খোলার আগে তেমন কিছুর প্রয়োজন হয় না।  ব্লগ সাইট খোলার জন্য দুইটি পদ্ধতি আছে একটি হলে ফ্রি ভার্সন এবং অন্যটি হলো পেইড ভার্সন। আমরা ফ্রি ভার্সন বলতে বুঝি, কোনো টাকা পয়সা লাগে না আবার অনেক সময় দেখা যায় ফ্রি ভার্সনে অনেক কিছু থাকেনা ফলে সেই ক্ষেত্রে আমার পেইড ভার্সনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। 

আরো পড়ুনঃ- প্রফেশনাল ফেসবুক পেইজ খোলার নিয়ম। ফেসবুক পেইজ কেন খুলবো

পার্সোনাল ইউজারের জন্য বা ছোটখাটো ব্যাক্তি বা লেখদের জন্য ফ্রি ভার্সনেরটা যথেষ্ট কিন্তু ু যারা লেখালেখি করে টাকা আয় করতে চাই তাদের জন্য পেইড ভার্সনের কোনো বিকল্প নাই। 

ব্লগসাইট খোলার জন্য অনেক গুলো প্লাটফর্মে অপশন আছে। তাদের মধ্যে দুইটি প্লাটফর্ম সবথেকে জনপ্রিয়। একটি হল ব্লগার এবং অন্যটি হল ওয়ার্ডপ্রেস।

ফ্রি ব্লগ বানানোর জন্য কিসের প্রয়োজন

প্রথম আপনাকে ফ্লি ব্লগ বানানোর জন্য আপনার একটি গুগলের জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন হবে এবং এই জিমেইল দিয়ে আপনি অনেকগুলি ব্লগ বানাতে পারবেন।

  • আপনার একটি ভেরিফাই জিমেইল আইডি লাগবে।
  • কম্পিউটার লাগবে।
  • ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে।
  • ডোমেইল  লাগবে (এটা অপশনাল) 
  • ব্লগিং নিশ 
  • ব্লগের নাম

Blogger এই আপনি ফ্রিতে ব্লগ বানাতে পারবেন। তবে আপনি ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে প্রফেশনাল ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। তার জন্য  আপনাকে ডোমেইল কিনে নিতে হবে। Blogger আপনার hosting বা থিম আপনার প্রয়োজন নাই। আপনি hosting বা Theme ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন এবং গুগল অ্যাডসেন্স দ্বারা টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।

কিভাবে আপনার নিশ নির্বাচন করবেন

ইন্টারেস্ট

প্রথমে আপনি নিজেকে এই প্রশ্ন করুণ কোন জিনিসের প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি। আপনি যদি এমন নিশ খুঁজে পান যার মধ্যে আপনার আগ্রহ বেশি এবং আপনি যে বিষয়ে লিখতে আপনি বেশি পছন্দ করেন তাহলে আপনি ব্লগারে তাড়াতাড়ি সাফল্য পাবেন।

কিওয়ার্ড সার্চ

আপনি যে বিষয়টিকে আপনার ব্লগের নিশ তৈরি করতে চান, তারপর আপনি সেই নিশের কিওয়ার্ডগুলি খুঁজে পাওয়ার সন্ধান করেন। কারণ আপনি যদি এই নিশ অনুসন্ধান করে খুঁজে না পান তাহলে আপনার ব্লগে ট্রাফিক আসবে না। যদি ট্রাফিক না আসে তাহলে আপনি ব্যর্থ হবেন।

আরো পড়ুনঃ- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম-কন্টেন্ট লিখে টাকা ইনকাম করার উপায় 

শিরোনাম/ Capitation 

শিরোনাম আপনার ব্লগের জন্য একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আপনি যদি কমন টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করেন যার অবস্থা গুগলে খুব বেশি, তাহলে আপনাকে ব্লগে গুগলে র‍্যাক করতে অনেক সময় লাগবে। কারণ আপনি গুগলের কিওয়ার্ডগুলিতে গুগলে নতুন ব্লগের সাথে র‍্যাক বা পদমর্যাদা করতে পারবেন না। আপনি যখনি নিজের ব্লগের জন্য গবেষণা করেন তখন আপনি এটি খেয়াল রাখবেন।

আপনার ব্লগের জন্য ডোমেইনের নাম নির্বাচন

আপনি প্রথমে আপনার ব্লগের জন্য নিশ যদি ঠিক করেন। তাহলে আপনার ব্লগের জন্য ডোমেইনের নাম নির্বাচন করতে আপনার জন্য সহজ হবে। ডোমেইনের নাম আপনার ব্লগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন নিজের ব্লগের জন্য কোথাও থেকে ডোমেইন নিচ্ছেন, তখন আপনাকে কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত। 

ডোমেইনের নাম অর্থপূর্ণ

আপনি যখন নিজের ব্লগের জন্য ডোমেইন নিচ্ছেন তখন আপনাকে খেয়াল করতে হবে। আপনার ডোমেইনের নাম যেন অর্থপূর্ণ হয়। যদি আপনার ডোমেইনের নাম অর্থপূর্ণ হয় তাহলে লোকেরা আপনার ব্লগ সাইট সম্পর্কে বুঝতে সহজ হবে।

ডোমেইনে কোন নাম্বার নেই 

আপনি যখনই নিজের ব্লগের জন্য কোনও ডোমেইনের নাম নেন, তখন আপনার মনে রাখা উচিত যে আপনার ডোমেইনের নামটিতে কোন নাম্বার দেয়া হয় না। যদি আপনার ডোমেইন নামে কোন নাম্বার দেয়া থাকে। তাহলে এটি দেখতে ভালো লাগেনা এবং এই নামটি  মানুষদের মনে রাখতে অসুবিধা হবে। তাই আপনার ব্লগে ডোমেইনের নামে নাম্বার ব্যবহার করবেন না।

ডোমেইনে আপনার ব্লগে নিশ শব্দটি ব্যবহার

আপনি যখন নিজের ব্লগের জন্য কোন ডোমেইনের নাম নিবেন, তখন আপনার মনে রাখা উচিত যে ডোমেইনের নামের সাথে নিশ শব্দটি ব্যবহার করবেন। এতে করে লোকেরা আপনার ব্লগের URL দেখে বুঝতে পারবে এই ওয়েবসাইটে কি আছে। এতে করে আপনার সাইটে ট্রাফিক আসবে।

মোবাইলে ব্লগ খোলার নিয়ম 

প্রথমে আপনাকে Blogger এই ব্লগ বানানোর জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার অথবা মোবাইলে ব্যবহার করতে হবে এবং তাতে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। মোবাইলে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে মোবাইল থেকে ডেস্কটপ করে নিতে হবে। আপনাকে গুগল Chrome Browser থেকে মোবাইলের উপরের ডান পাশে তিনটা পিন আইকনে ক্লিক করে তারপর Desktop site টিক চিহ্ন দিন। তারপর আপনার মোবাইল ডেস্কটপ মোডে চলে যাবে।

আরো পড়ুনঃ- নতুন করে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম। প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম 

এবার আপনার কাছে ভেরিফাই জিমেইল আইডি থাকে তাহলে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন। 

ব্রাউজারে প্রবেশ করুন

আপনাকে ব্লগসাইট খোলার জন্য প্রথমেই একটি ব্রাউজারে যেতে হবে। আধুনিক সময়ে অনলাইনে অনেক ব্রাউজার দেখতে পারবেন। আপনার পছন্দের যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে  আপনি ব্লগসাইট খোলতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমার ব্যাক্তিগত পরামর্শ হল আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন।

গুগলের ব্লগার সাইটে প্রবেশ করুন 


আপনি দুইটি পদ্ধতিতে গুগলের ব্লগার সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। আপনি প্রথমে গিয়ে ব্রাউজারের সার্চবারে টাইপ করতে পারেন www.blogger.comcom অথবা আপনি সরাসরি লিংকের মাধ্যমে গুগলের ব্লগারসাইটে প্রবেশ করতে পারেন। 

সরাসরি ব্লগার সাইটে যাওয়ার জন্য ক্লিক করুন। 

গুগল আইডি লগইন করুন 

আপনাকে প্রথমে Google chrome browser থেকে www.blogger. Com যেতে হবে। আপনি ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর আপনি নিচের ছবিতে একটি ড্যাশবোর্ড দেখছেন ঠিক তেমনি ড্যাশবোর্ড বা ব্লগারের Home Page দেখবেন।


এখন আপনি "Create your Blog " বলে একটি অপশন দেখবেন। তারপর আপনি ক্লিক করবেন। 

Create Your blog বাটনে ক্লিক করার পর আপনি Google Account login পেইজ দেখবেন। নিচের ছবিতে যেমন দেখছেন।


তারপর আপনি লগইন পেইজে আপনি নিজের জিমেইল আইডি এবং Password দিন তারপর আপনি গুগল একাউন্টে লগইন করুন। তারপর আপনি নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন। 

আরো পড়ুনঃ- টিকটকে চালু হচ্ছে নতুন ফিচার, ব্যবহারের উপর থাকছে সীমাবদ্ধতা

আপনার জিমেইল একাউন্টে লগইন করা মানেই ব্লগারে লগইন করা। আপনি আলাদা ভাবে ব্লগারে লগইন বা সাইনআপ করতে হবে না।

ব্লগারে প্রোফাইল নাম সেট করা

এখন আপনি জিমেইল একাউন্ট দিয়ে ব্লগারে লগইন করার পর আপনি ব্লগারে লগইন হয়ে যাবেন এবং নিচের ছবিতে আপনি দেখতে পারছেন প্রথমে আপনাকে "Display Name " দিতে হবে।


আপনি যেকোনো নাম দিতে পারেন তবে আপনি আপনার নিশ অনুযায়ী আপনার ব্লগারের নাম দিবেন। 

তবে আপনি মনে রাখবেন এখানে দেওয়া প্রোফাইল নামটি আপনার ব্লগারের নাম হিসেবে দেখানো হবে।


আপনার প্রোফাইল নাম দিয়ে আপনার আর্টিকেলগুলি পাবলিশ করা হবে আপনার ব্লগে।

আপনি আপনার নিশ অনুযায়ী প্রোফাইল নাম দেওয়ার পর নিচে "finish " বাটনে ক্লিক করবেন।


ব্লগারের ড্যাশবোর্ড থেকে ব্লগ তৈরি

তারপর আপনার সামনে একটি পেইজ খুলবে। নিচের ছবির মত আপনি দেখতে পারবেন। তারপর আপনি "Create New blog" এই ক্লিক করবেন ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি পেইজ আসবে। 


ব্লগ বা ওয়েবসাইটের বিস্তারিত 

এই পেইজে আপনি দেখতে পারবেন কিছু অপশন আসবে।এই অপশন গুলি আপনাকে পূরণ করতে হবে। এখানে আপনাকে ওয়েবসাইটের শিরোনাম, ঠিকানা লিখুন এবং আপনাকে থিম নির্বাচন করতে হবে। নিচের ছবিতে আপনি যেমন দেখছেন। 



টাইটেলঃ- এখানে প্রথমে আপনাকে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের নাম লিখতে হবে। যেহেতু আমার ওয়েবসাইটের নাম "Techinfoitbangla" বা টেকইনফোআইটিবাংলা। এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নিশ অনুযায়ী আপনার নাম রাখবেন। আপনি ভালো করে বুঝার জন্য আপনি ওপরের ছবিতে দেখুন আমি কি টাইটেল ব্যবহার করেছি।


ঠিকানা / URLঃ- আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা / URL কি হওয়া উচিত তা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি ব্লগারে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা / URLহবে blogspot.com লেখা পাবেন। আপনি যদি অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে ডোমেইন কিনে ব্লগারে সেট করেন তাহলে হবে আপনার ওয়েবসাইটের নাম আপনার পছন্দের নামে হবে। তখন আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা / URL হবে এইরকম techinfoitbangla.com 


Theme /  থিমঃ- এরপর আপনি থিম বলে একটি অপশন দেখবেন। এখানে গুগলের পক্ষ থেকে গ্রাহককে অনেকগুলি থিম দেওয়া হয়েছে। থিম মানেই ডিজাইনকে বুঝায়। এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য থিম বেছে নিবেন । আপনি যে থিম নির্বাচন করবেন । সেই থিম আপনার ওয়েবসাইটে  Outlook দেখাবে । এতে করে আপনার ওয়েবসাইট প্রফেশনাল মনে হবে এবং দেখতে সুন্দর লাগবে।


এখন আপনি সবকিছু পূরণ করার পর ডানদিকে থাকা "Create blog" অপশনে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর পরের পেইজে চলে যাবেন। 

Skip Google domain অপশন 

পরের পেইজে আপনি একটা অপশনের বক্স দেখবেন সেই বক্সের উপরে Google Domain লিখা থাকবে। নিচের ছবিতে যেমন দেখছেন। 

এখানে আপনি Find a Domain বক্সে নিজের ব্লগারের জন্য Top-level domain যেমনঃ-. Com,. Net,. Org এধরনের Domain Search করে Register করতে পারবেন। 

এতে আপনার কিছু টাকা ডোমেইন কিনার জন্য আপনাকে দিতে হবে।

আপনি যদি চান নিজের ব্লগের জন্য Top level Domain এখান থেকে রেজিস্টার করতে পারবেন। আর আপনি যদি এখান থেকে ডোমেইন রেজিস্টার করতে না চান তাহলে আপনি No Thanks অপশনে ক্লিক করবেন।


আপনি মনে রাখবেন একটি ডোমেইন কিনে আপনার ব্লগার ব্যবহার করাটা বাধ্যতামূলক না বা জরুরি না।

আপনার ব্লগ তৈরি 

এখন আপনার blog তৈরি হয়েছে। তারপর আপনাকে প্রফেশনাল লুক দিতে হবে। No thanks অপশনে ক্লিক করার পর আপনি ব্লগারের ড্যাসবোর্ডের এই চলে আসবেন। আপনাকে একটি নতুন ব্লগের ড্যাশবোর্ড দিয়ে দেওয়া হবে। আপনি নিচের ছবিতে যেমন দেখছেন আপনার blogger dashboard ঠিক এই রকম হবে।



আপনি ড্যাশবোর্ড থেকে নিজের ব্লগের ঠিকানা গিয়ে ব্লগের জিমেইল বা লাইফ ভিউ দেখতে পারবেন। 

এর বাহিরেও আপনি নিজের ড্যাশবোর্ড থেকে New post এই গিয়ে নতুন আর্টিকেল New post লিখতে পারবেন বা এখান থেকে আপনি Published করতে পারবেন। আপনি ব্লগ ডিজাইন করতে পারবেন, নতুন পেইজ বা ক্যাটাগরি যোগ করতে পারবেন এবং আপনি এখান থেকে গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করে টাকা আয় করতে পারবেন। নিচের ছবিতে যেমন দেখতেছেন।



নিজের ব্লগ দেখুন

আপনার বানানো ব্লগ কেমন হয়েছে দেখতে বা ব্লগটিতে দেখতে হলে আপনি নিজের blogger dashboard থেকে নিজের বামদিকে থাকা "View blog" অপশনে ক্লিক করুণ। ক্লিক করার পর আপনি আপনার বানানোর ব্লগ সাইটটি দেখতে পারবেন। নিচের স্ক্রীনশর্টে আপনি দেখতে পারছেন। 


কিভাবে ব্লগ ডিজাইন করা যায় 

একটি ব্লগ ডিজাইন নির্ভর করে মূলত তার থিমের উপর। আপনার থিম সুন্দর হলে পাঠকের কাছে দৃষ্টিনন্দন মনে হবে।

আরো পড়ুনঃ- ইউটিউব ভিডিও এসইও কি। ইউটিউব ভিডিও এসইও করার কার্যকরি উপায়  

আপনি যদি চান ব্লগের থিম পরিবর্তন করবেন তাহলে প্রথমেই আপনাকে একটি থিম ডাউনলোড করতে হবে। আপনি ফ্রি ব্লগার থিম ডাউনলোড করার জন্য এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করবেন (https://gooyaabitemplates.com/)

তবে আপনি চাইলে google free blogger template  লিখে সার্চ করলেই আপনি অনেক সাইট পেয়ে যাবেন। 


তারপর আপনি ব্লগার ড্যাশবোর্ড থেকে থিম অপশনে যাবেন তারপর আপনি কাস্টমাইজ অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর ডাউনলোড করা থিম এখানে নিয়ে আসবেন। কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড করা ফাইলটি সিলেক্ট করে দিলেই আপলোড হয়ে যাবে। থিমটি সফল ভাবে আপলোড হলে Success message আসবে।নিচের ছবিতে দেখানো হল।




আপনি ব্লগ ভিজিট করার পর এমন অনেক জিনিস পাবেন যা আপনার ব্লগ সাইটে রাখতে চান না। এসব ডিলিট করার জন্য আপনি layout অপশনে ক্লিক করলেই খুঁজে পাবেন।


ব্লগ সেটিংস ঠিক করার উপায় 

আপনি ব্লগারে ব্লগ বানানোর পর কি করতে হবে সেটিংস  কিভাবে করবেন বা ব্লগ ডিজাইন কিভাবে করবেন আর একটি নতুন আর্টিকেলের মাধ্যমে বলবো।  তাই আপনি Blogger setting নিজেই কাস্টমাইজ করে, আপনার ব্লগ সাইট প্রফেশনাল করে নিবেন। 

আরো পড়ুনঃ- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কাকে বলে। সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট র‍্যাক করার সহজ উপায় 

এই কাজের জন্য বিভিন্ন সেটিংস ঠিক করতে হবে। ব্লগার সেটিংস ঠিক করা ওয়ার্ডপ্রেসের মত জটিল কিছু না, আপনি নিজেই নিজেই করতে পারবেন। তবে আপনার প্রোপার গাইডলাইন দরকার। আপনি blogger setting কাস্টমাইজ ক্লিক করুন। 

কিভাবে আপনি সফল ব্লগার হবেন

  • ব্লগিং ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক ব্লগ সাইট খুব দ্রুত এগিয়ে যায়। কিন্তুু মাঝ পথে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। ব্লগ সাইটে নতুন আর্টিকেল আসে না, কিংবা ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারে না। 
  • এসবের পিছনে কারণ হিসেবে আমি দুইটি কারণ চিহ্নিত করতে পারি।
  • অনেকে ভিজিটরে দিকে নজর না দিয়ে শুধু আয়ের কথা ভাবে। ব্লগ শুরু করার পর আমার কাছে অনেক প্রশ্ন আসে,  কিভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো যায়?  কিন্তুু প্রশ্ন করার উচিত ছিলো এমন, আমার ওয়েবসাইট কি ট্রাফিক পাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে? 
  • আরেকটি প্রশ্ন সবার মনে মনে থাকে, কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়? কিন্তুু আপনাদের মনে করা উচিত আমার ওয়েবসাইট আয় করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে কি না।
  • আপনি ব্লগ করে তাড়াতাড়ি ইনকাম করতে পারবেন না। আপনাকে অনলাইনে কাজ করতে হলে ধৈর্য ধারণা করতে হবে। আর আপনাকে কোয়ালিটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল দিতে হবে। 
  • আরএকটি ভুল করে, প্রথমে ফ্রি ডোমেইন নিয়ে শুরু করে পরে টপ লেভেল ডোমেইন নেওয়া হয়।
  • আমরা প্রথমে ফ্রি BlogSpot ডোমেইন নিয়ে ব্লগ একাউন্ট খুলে নিয়েছি। কিন্তুু আপনারা এভাবেই ব্লগ শুরু করবেন না। আপনি যদি প্রফেশনাল ব্লগার হতে চান তাহলে প্রফেশনালভাবে ব্লগ তৈরি করে অনলাইনে আসতে পারেন। এজন্য আপনাকে টপলেভেলের ডোমেইন নেওয়া দরকার। আপনি যদি চিন্তা করেন পরে নিবেন তাহলে ভুল করবেন।

ফ্রি ডোমেইনে ব্লগ শুরু করার পিছনে অনেক অসুবিধা আছে

  • ওয়েবসাইটের প্রতি খারাপ ধারণা
  • আপনার ওয়েবসাইটে কম ক্লিক পাওয়া 
  • আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক না পাওয়া 
  • টপ লেভেলের ডোমেইন নেওয়ার পর পুনরায় অ্যাডসেন্স Approval নেওয়া।
  • আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক হারিয়ে  ফেলা।

আমার শেষ কথা


ব্লগারের ব্লগ  বানানোর পর কি করতে হবে, প্রফেশনালভাবে সেটিংস  কিভাবে করবেন বা ব্লগ ডিজাইন কিভাবে করবেন পরের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। 

যদি আমার আর্টিকেলটি পড়তে বা বুঝতে অসুবিধা মনে হয় এবং যদি আমার আর্টিকেলে কোনো ভুল হয় আমাকে কমেন্টে জানাবেন।ধন্যবাদ 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url