কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশে মৌসুমি ফল কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে এখন। সুস্বাদু এই ফলের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কাঁঠালের ভিটামিন সি, এ, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, সোডিয়াম, ফোলিক এসিড থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় ফল হল কাঁঠাল। কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম হল ARTOCARPUS Heterophyllies। এবং এর ইংরেজি নাম হল JACKFRUIT।  কাঁঠাল এমন একটি ফল যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানের পুষ্টিগুণ, ঔষুধিগুন ও উপকারিতা। 


এছাড়াও কাঁঠালে মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন থাকে।এতে ফ্যাট নেই, ক্ষতিকর কোলেস্টেরলও নেই। এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল। এ কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়ায়। আজ আমরা কাঁঠালের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ-

কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা। কাঁঠালের উপকারিতা 

আজ আমরা কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। কাঁঠালের অনেক পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা বহুগুণ। চলুন আর দেরি না করে কাঁঠালের উপকারিতা  ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। 

কাঁঠালের উপকারিতা 

  • কাঁঠালের চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।
  • কাঁঠাল বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদানের ভরপুর। কাঁঠালে পটাশিয়াম একটি উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এই জন্য কাঁঠালে উচ্চ রক্তচাপের উপশম হয়।
  • কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উচ্চ উপাদান কোলন পরিষ্কার করে। যদিও এটি কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় সরাসরি প্রভাবিত করে না। তবে এটি অবস্থার অগ্রগতি কমাতে সাহায্য করে। পাইলস উপশম ও প্রতিরোধ এই ফলটি খুবই কার্যকরী। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলসের দিকে নিয়ে যায় এবং উচ্চ খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের সাথে কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
  • কাঁঠালে ক্ষতিকারণ ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকায় কাঁঠাল খেলে ওজন বাড়ার আশস্কা থাকে না।
  • কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
  • কাঁঠালে অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি, প্রাকৃতিকভিবে মানবদেহে ভিটামিন সি তৈরি হয় না। রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাঁড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন সি।
  • কাঁঠাল টেনশন, নার্ভাসনেস ও বদ হজম কমাতে সাহায্য করে।
  • কাঁঠাল আঁশযুক্ত খাবার। কাঁঠালের এই আঁশে ফাইবার আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • কাঁঠালে থাকা খনিজ উপাদান ও আয়রন দেহের রক্তস্বল্পতা দূর করে।
  • কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম। 
  • কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‍্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। 
  • কাঁঠালে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ক্যালসিয়ামের মত হাঁড় গঠনে ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  • শিশুর ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর শরীরের প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিনের অভাব দুর হয় ও ক্ষুধা নিবারণ হয়।
  • প্রতিদিন একজন গর্ভবতী মহিলাকে ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে তার ও গর্ভস্থ শিশুর সকল ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
  • কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
  • চর্মরোগের সমস্যা সমাধানের কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।
  • দুগ্ধদানকাররী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  • কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানি  উপশম হয়। শেকড় সিদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশন হয় তা হাঁপানি প্রকোম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। 
  • কাঁঠালের বীজ শুধু খাওয়ার জন্য দারুণ নয় বরং এটি আপনার সুস্থ ত্বকের জন্য একটি চমৎকার এবং প্রাকৃতিক পন্য হতে পারে। কাঁঠালের বীজ বিশেষ ভাবে ফাইবার সমৃদ্ধি বা আপনার সিস্টেমকে ডিটক্সিফাই করতে পারে এবং  আপনাকে এক উজ্জ্বল ত্বক দিতে পারে। এমকি স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতার জন্য আপনার মুখে কাঁঠালের বীজ এবং দুধের পেস্ট লাগাতে পারেন।

কাঁঠালের  অপকারিতা 

  • সব কিছুর মতই কাঁঠালের ও উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও আছে। কাঁঠালের অপকারিতা নিচে দেওয়া হল। 
  • কাঁঠাল একটি শুরুপাক ফল, কারণ কাঁঠলে প্রচুর পরিমাণ আমিষ আছে।
  • কাঁঠালে আমিষের পরিমাণ বেশি থাকায় কাঁঠাল হজম করতে বেশি সময় লাগে।
  • অতিরিক্ত পরিমানের কাঁঠাল খেলে বদ হজম হতে পারে।
  • যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের কাঁঠাল খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
  • রক্ত সম্পর্কিত রোগে ভুগছেন এমন লোকেদেরও ফল খাওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয় না। কারণ এটি জমাট বাড়াতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যদিও কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, এমন সাধারণ ধারণা রয়েছে যে কাঁঠাল গর্ভপাত করতে পারে। তবে গর্ভাবস্থাকালীন সীমিত পরিমাণে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম। কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা 

কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড় তরকারি হিসেবে উপাদেয়। এতে প্রচুর শর্করা ও ক্যালসিয়াম থাকে। কাঁঠালের বীচিও চমৎকার এই খাবার। কাঁঠাল কাঁচা পাকা সব অবস্থাতেই খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাঁঠালের বিচিও তরকারিতে দিয়ে  বা ভেজে খাওয়া যায়। কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ। কাঁঠার খাওয়ার  কিছু নিয়ম রয়েছে। 

  • কাঁঠাল পাকা হোক কাঁচা কাঁঠাল কাটার সময় অবশ্যই হাতে তেল মেখে নিবেন। কেননা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঠা রয়েছে। 
  • কাঁঠালে চিনির পরিমাণ বেশি রয়েছে।  তাই ডায়াবেটিস রোগীরা স্বল্প পরিমাণে কাঁঠাল খাবেন।
  • সকল ফলেরই জুস খাওয়া যায়। আপনি চাইলে কাঁঠালের ও জুস করে খেতে পারেন।
  • যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের কাঁঠাল এড়িয়ে চলা ভালো।
  • অতিরিক্ত কাঁঠাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, অতিরিক্ত পরিমানে কাঁঠাল খেলে বদ হজম হতে পারে।

কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয়। কাঁঠাল বেশি খেলে কি ক্ষতি হয়

কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ ও ঔষুধিগুণ। কাঁঠাল যেমনি সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকর। কাঁঠালে আছে ভিটামিন এ  সি পটাশিয়াম  এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান। কাঁঠাল খেলে কোন ক্ষতি হয় না তবে কাঁঠাল খাওয়ার পর বেশ কিছু ফল খাওয়া যাবে না। চলুন দেখি নি কোন ফল খাওয়া যাবে না।

পেঁপেঃ- কাঁঠাল খাওয়ার পর পেঁপে খাওয়া ঠিকানা কারণ কাঁঠাল খাওয়ার পর পেঁপে খেলে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা ও লুজ মোশনের সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ- ইউটিউব ভিডিও এসইও কি। ইউটিউব ভিডিও এসইও করার কার্যকরি উপায় 

দুধঃ- কাঁঠাল খাওয়ার পরে দুধ খাওয়া ঠিক না এতে পেট ফোলার সমস্যা,  ত্বকে ফুসকুড়ি আবার অনেকের সাদা দাগের সমস্যা ও হতে পারে।

পানঃ- অনেকের আবার খাবারের পর পান খাওয়ার অভ্যাস আছে।  কাঁঠাল খাওয়ার পর পান খাওয়া একদমই ঠিক না এতে করে সেই ব্যাক্তির মৃত্যুও হতে পারে।

ঢেঁড়সঃ- কাঁঠাল খাওয়ার পর ঢেঁড়স বা ভেন্ডি খাওয়া উচিত না। এতে করে আপনার পায়ে ব্যাথা ও অ্যাসিডিটির সমস্যাও হতে পারে।

কাঁঠাল পাতার উপকারিতা। কাঁঠাল পাতার উপকারিতা

কাঁঠাল কাঁচা পাকা সব অবস্থাতেই খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে তরকারি রান্না করে খাই। কাঁঠাল ছাড়া পাতা ও উপকারিত। কাঁঠাল পাতা আমরা শুধু ছাগলের পাতা বলে ভাবতাম। এখন কাঁঠাল পাতা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। কাঁঠাল পাতা ডায়াবেটিস কমাতে ভূমিকা পালন করে। যারা ডায়াবেটিস  এর সমস্যায় আক্রান্ত তারা খেতে পারেন কাঁঠান পাতার রস। মূলত ডায়াবেটিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা এই পাতার রস খেলে ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। এছাড়াও কাঁঠাল পাতা দিয়ে অনেকে বড়াও বানিয়ে খাচ্ছেন। কাঁঠাল পাতার বড়া দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অনেক সুস্বাদু।  কিভাবে কাঁঠাল পাতার বড়া বানাবেন চলুন দেখেনি।

  • প্রথমে পরিমাণ মত কয়েকটি কচি, পরিষ্কার কাঁঠাল পাতা সংগ্রহ করে নি।
  • কাঁঠাল পাতাগুলো ভালো মতে ধুয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটেনি।
  • তারপর পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ কুঁচি, লবণ এবং হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
  • এগুলো মিশানো হয়ে গেলে পরিমাণমতো চালের গুঁড়ো মাখিয়ে নিন।
  • সম্পূর্ণ মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে পেঁয়াজুর মত ভাজার মত করে সয়াবিন তেলের মধ্যে ভেজে নিন।
  • ভাজার ক্ষেত্রে ডুবো তেলে না ভেজে হালকা তেলে ভাজুন।
  • তৈরি হয়ে গেল কাঁঠাল পাতার বড়া। 

কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা | কাঁচা কাঁঠাল কাটার নিয়ম

  • সামান্য পরিমাণের প্রোটিন থাকে কাঁঠালে।
  • প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে যা মানব দেহের গঠনে সাহায্য করে।
  • কাঁচা কাঁঠালে ০.৩ গ্রাম শ্বেতসার থাকে।
  • কাঁচা কাঁঠাল দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁচা কাঁঠালে ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা চোখের রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও কাঁচা কাঁচা কাঁঠালে ভিটামিন-বি -১ এবং  বি-২ থাকে।  কাঁচা কাঁঠালে ০.৩ মি গ্রাম বি- ১ পাওয়া যায়। 
  • কাঁচা কাঁঠালে ০.৯ মি.গ্রাম বি-২ পাওয়া যায়। 
  • নিয়মিত কাঁঠাল খেলে পাইলস, কোলন ক্যান্সারের আশংকা কমায়। কাঁঠালে থাকা আয়রণ রক্তের লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। 

কাঁঠালের বিচির উপকারিতা | কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ

  • কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন-বি-১ ও ভিটামিন -১২ এর ভালো উৎস। এছাড়াও আপনি কাঁঠালের বিচিতে পেয়ে যাবেন ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, থায়ামিন, নায়াসিন, লিগন্যান, আইসোফ্ল্যাভোন এবং স্যাপোনিনের মতে ফাইটো ক্যামিক্যালস। যা আপনাদের মানব দেহের জন্য উপকারী। 
  • কাঁঠালের বিচিতে আপনি আরো পেয়ে যাবেন কাঁঠালের বিচিতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্টগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং বার্ধক্যের প্রভাব সৃষ্টিকারি উপাদানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।
  • কাঁঠালের বিচি খেলে আপনি আরো পুষ্টি পেয়ে যাবেন। তার মধ্যে ফাইবার ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের কারণে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে এটি ওজন কম বাড়িয়েই যোগাতে পারে অনেক এনার্জি। 
  • যাদের প্রোটিনের অভাব তারা কাঁঠালের বিচি খেতে পারেন। আমাদের দেহে প্রোটিনের চাহিদা অত্যন্ত জরুরি। যাদের মাছ,মাংস  কম খাওয়া হয় তাদের জন্য আমিষের চাহিদা মিটাতে কাঁঠালের বিচি উৎকৃষ্ট খাবার। 


আরো পড়ুনঃ- প্রফেশনাল ফেসবুক পেইজ খোলার নিয়ম। ফেসবুক পেইজ কেন খুলবো

পরিশেষে বলতে পারি

আজ আমরা জানতে পারলাম কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আমরা জানি আপনাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। আমার সবাই কম বেশি কাঁঠাল পছন্দ করি। কাঁঠালে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি অপকারিতা ও অনেক। আমার পোস্টটি যদি ভালো লাগে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবে ধন্যবাদ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url