ব্ল্যাড ক্যান্সার কি? ব্ল্যাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
ব্ল্যাড ক্যান্সারের ১১ টি লক্ষ্মণ। ব্ল্যাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়। ব্ল্যাড ক্যান্সার শব্দটি শুনে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে যান। আবার অনেক মনেকরে ব্ল্যাড ক্যান্সার মানেই মৃত্যু কিন্তুু এই ধারণা ভুল এমনটা আগে মনে করা হত। কিন্তুু বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ব্ল্যাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করে একজন মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়।
আজকে এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব ব্ল্যাড ক্যান্সার কি? ব্ল্যাড ক্যান্সার কত প্রকার। ব্ল্যাড ক্যান্সারের লক্ষ্মণ। ব্ল্যাড ক্যান্সার কিভাবে হয়। ব্ল্যাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষ্মণ। ব্ল্যাড ক্যান্সারের উপসর্গ।
পেজ সূচিপত্রঃ-
- ব্ল্যাড ক্যান্সার কী
- ব্ল্যাড ক্যান্সার কত প্রকার?
- ব্ল্যাড ক্যান্সার কেন হয়
- ব্ল্যাড ক্যান্সারের ১২টি লক্ষ্মণ
- ব্ল্যাড ক্যান্সার হলে কি হয়
- ব্ল্যাড ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ
- ব্ল্যাড ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা
- ব্ল্যাড ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে
- ব্ল্যাড ক্যান্সারের কারণ গুলো কিকি
- ব্ল্যাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
ব্ল্যাড ক্যান্সার কী
নানাভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের জিনের মধ্যে বা ক্রোমোজোমের ভিতরে মিউটেশন হতে থাকে। এই মিউটেশন যদি সঠিকভাবে কাজ না করে এবং এটি যদি দীর্ঘকালী হয়ে যায়, তাহলে আমাদের শরীরের মধ্যে অনকজিন নামের একটা জিন রয়েছে, সেটা অ্যাক্টিভেটেড হলে, তখন যে কোন কোষের ব্ল্যাড ক্যান্সারের রূপান্তরিত হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ- কাগজি লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল
ব্ল্যাড ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। ব্ল্যাড ক্যান্সারকে আমরা সহজ ভাষায় বলতে পারি আমাদের শরীরে যে রক্ত রয়েছে তার তিনটি উপাদান থাকে। তাদের নাম হলোঃ-
- লোহিত রক্তকণিকা
- শ্বেত রক্তকণিকা এবং
- অনুচক্রিকা
ব্ল্যাড ক্যান্সার হলো রক্তের মধ্যে শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। যেহেতু আমাদের শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বেড়ে যায় তাই রক্তে লোহিত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে রোগী রক্ত শূন্যতাই ভোগে।
ব্ল্যাড ক্যান্সার কত প্রকার?
এখন আমরা দেখবো ব্ল্যাড ক্যান্সারের প্রকারভেদ। ব্ল্যাড ক্যান্সার তিন প্রকার। আবার সেগুলোর শ্রেণীবিন্যাস রয়েছে। এগুলো নিচে আলোচনা করা হল।
শ্বেতকণিকা থেকে বা হোয়াইট ব্ল্যাড সেল থেকে সৃষ্টি ব্ল্যাড ক্যান্সারকে লিউকেমিয়া ব্ল্যাড ক্যান্সার বলে। এই লিউকেমিয়া ব্ল্যাড ক্যান্সারকে আবার তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- একিউট মাইলোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া
- একিউট লিমফোব্লাস্টিক নিউকেমিয়া
- ক্রনিক লিমফোসাইটিক নিউকেমিয়া
লসিকা গন্থি থেকে সৃষ্টি এক ধরনের ব্ল্যাড ক্যান্সারকে লিমফোমা বলে। এই ধরনের ব্ল্যাড ক্যান্সার দুই ধরণের হয়ে থাকে।
- হজকিন ও নন হজকিন লিমফোমা
- লিমফোব্ল্যাড লিমফোমা
- মাইলোমা ও প্লাজমা সেল নিউকেমিয়াঃ- প্লাজমা সেল থেকে সৃষ্ট ব্ল্যাড ক্যান্সার।
ব্ল্যাড ক্যান্সার কেন হয়
ব্ল্যাড ক্যান্সার কেন হয় তার সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নাই। তবে কিছু কিছু বিষয় ব্ল্যাড ক্যান্সারের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেয়। যেমনঃ- রিডিয়েশন, ইন্ডাস্টিয়াল কেমিক্যাল, কীটনাশক পেস্টিসাইড, ভেজাল খাবার, কেমোথেরাপি ড্রাগস ও কিছু জেনেটিক অসুখ দায়ী থাকতে পারে।
ব্ল্যাড ক্যান্সারের ১২টি লক্ষ্মণ
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিঃ- আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তি বোধ করেন অথবা অবসাদে ভোগেন তবে সেটা অনেক রোগের কারণ হতে পারে। মলাশয়ের ক্যান্সার এবং রক্তে ক্যান্সার হলে এমন উপর্সগ দেখা যায়। তাই, আপনি যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ক্লান্তিবোধ করেন অথবা আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্নান্তবোধ থাকেন তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নিন।
ওজন হ্রাসঃ- আপনার যদি কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ করে আপনি যদি দ্রুতগতিতে ওজন হারাতে থাকেন তাহলে ভাবনার বিষয়। অনেক ক্যান্সার সাধারণ হুট করে ওজন কমিয়ে ফেলে। তাই আপনারা শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দীর্ঘদিনের ব্যাথাঃ- দৃশ্যত কোন কারণ যেমনঃ-( জখম-আঘাত) ছাড়া যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোন স্থানে ব্যাথায় ভোগেন তাতে যদি প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালো না হন তাহলে ভাবনার কারণ আছে। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা করছে তার ওপর নির্ভর করছে রোগী যদি ব্রেইন টিউমার আক্রান্ত হয়। এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ডঃ- আপনি যদি শরীরের কোন অংশে অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড দেখতে পান অথবা মাংস জমাট হতে দেখেন কিংবা এই ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারেন, তবে তেমন ভালো লক্ষ্মণ না, যা আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। এমনটা যদি হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘন ঘন জ্বরঃ- অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘ দিন ধরে জ্বর হচ্ছে জ্বর ভালো হচ্ছে না আবার কখনো কখনো রোগীর ঘন ঘন জ্বর হয়।
ত্বক পরিবর্তনঃ- অনেকেই ত্বকের ক্যান্সারের ব্যাপারের সচেতন নন। ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তনই এমন ক্যান্সার শনাক্ত করার সহজ উপায়। ব্ল্যাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর যেহেতু রক্ত কমে যায় তাই চেহারা ও শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া রক্তশূন্যতার একটি লক্ষ্মণ তবে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী কাঁশিঃ- আপনি যদি দেখেন যে ওষুধ সেবনের পরও আপনার কাঁশি সারছেই না। আর এই কাঁশির কারণে যদি আপনার বুক,পিঠ বা কাঁধে ব্যথা করে তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মল-মূত্রত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তনঃ- যদি মল বা মূত্রত্যাগের জন্য ঘন ঘন শৌচাগারে যেতে হয়, তবে এখানে ক্যান্সার নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যোও মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষ্মণ। মূলত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা বা রক্তক্ষরণ মূত্রথলির ক্যান্সারের উপসর্গ।
অকারণ রক্তক্ষরণঃ- অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ ( দাঁতের গোড়া, প্রস্রাব-পায়খানা, অনেক সময় কাঁশির সাথে রক্তপড়া, মাসিক বেশি হওয়া ইত্যাদি ব্ল্যাড ক্যান্সারের লক্ষ্মণ এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
খাবার গ্রহণের সমস্যাঃ- কেউ খাবার খেলে নিয়মিত বদহজমে ভোগেন, তবে পেট, কন্ঠনালী বা গলার ক্যান্সার নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। এমনটা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বুক ধড়ফড়ঃ- ব্ল্যাড ক্যান্সারের আক্রান্ত অল্প একটু হাঁটলে অথবা পরিশ্রম করলেই বুক ধড়ফড় অনুভব করে।
পায়ে পানি জমে যাওয়াঃ- অনেক সময় রোগীর পায়ে পানি জমতে দেখা যায়। এজন্য এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে উচিত হবে, প্রথমে নিকটস্থ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তখন ডাক্তার রোগীর সাধারণ কিছু পরীক্ষা করে বুঝবে রোগীর কি হয়েছে।
ব্ল্যাড ক্যান্সার হলে কি হয়
মানুষের দেহে ব্ল্যাড ক্যান্সার হলে কি হয় বা দেহে কি ধরনের পরিবর্তন হয় তা এখন আলোচনা করা হল।
মানুষের শরীর রক্ত মাংসের সমন্বয়ে তৈরি। রক্ত সাধারণ অস্থিমজ্জার ভিতরে তৈরি হয়। অস্থিমজ্জার ভিতরে এই রক্ত কণিকাগুলো তৈরি হয়ে শিরা-উপশিরার মাধ্যমে শরীরের প্রবাহিত হয়। ব্ল্যাড ক্যান্সার হলো রক্ত বা অস্থিমজ্জার ভিতর শ্বেত রক্ত কণিকার ( হোয়াইট ব্ল্যাড সেল) এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এই রোগকে লিউকেমিয়া ও বলা হয়। রক্তের মধ্যে প্রধাণত তিন ধরণের কণিকা থাকে। যেমনঃ- রেড ব্ল্যাড সেল বা লোহিত রক্তকণিকা
- হোয়াইট ব্ল্যাড সেল বা শ্বেত রক্তকণিকা
- প্লেটলেট বা অনুচক্রিকা
যেহেতু অস্বাভাবিক ভাবে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বেড়ে যায় তাই রক্তে লোহিত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে। এছাড়াও ব্ল্যাড ক্যান্সারের বেশ কিছু লক্ষ্মণ উপরে আলোচনা করা হল। যেগুলো মানুষের দেহে ঘটে এর ফলে রোগীর শরীরে প্রচুর ব্যথা হয় আমাদের শরীরে যতটুকুর রক্তের প্রয়োজন তা উৎপন্ন হয় না। আপনি যদি সঠিক সময়ে ব্ল্যাড ক্যান্সারের চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য।
ব্ল্যাড ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ
- সাধারণত কেমোথেরাপি দিয়ে ব্ল্যাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়।
- কী ধরণের ওষুধ বা কেমোথেরাপি দিতে হবে এবং ফলাফল কি হবে তা জানার জন্য লিউকেমিয়া, লিস্ফোমাকে পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন উপভাগে ভাগ করা হয়।
- ব্ল্যাড ক্যান্সার মানি মরণব্যাধি নয়। সঠিক সময়ে নির্ভুল রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা নিলে অনেক ব্ল্যাড ক্যান্সার ভালো হয় ও নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
- একিউট লিউকেমিয়া খুবই মারাত্নক, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হয়।
- ব্ল্যাড ক্যান্সারের চিকিৎসা সাধারণত স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদি হয়ে থাকে এটি কোন ধরণের ব্ল্যাড ক্যান্সার তার ওপর নির্ভর করে। আবার কারো ব্ল্যাড ক্যান্সার অনেক বড়। ইচ্ছে হলে তার বোনম্যারোট্রান্সপ্লান্ট করতে হয়।
- আমাদের দেশে সাধারণত কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিয়ে ব্ল্যাড ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। তবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে আরো ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়।
ব্ল্যাড ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা
আধুনিক পৃথিবীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে হোমিও চিকিৎসা ও ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে।উন্নত হয়েছে হোমিও ওষুধের গুণগতমান। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে ওষুধের প্রয়োগ করলে হোমিও চিকিৎসায় দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিও মেডিসিন কার্যকর। প্রাথমিক স্টেজে ক্যান্সার ধরা পড়লে ব্ল্যাড ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা করানো যেতে পারে তবে ক্যান্সার পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়লে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় যাওয়া উচিত হবে না।
ব্ল্যাড ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে
অস্থিমজ্জার ভিতর ক্যান্সার সেল (ব্ল্যাস্ট) এত বেশি বেড়ে যায় যে, লোহিত রক্তকণিকা অনুচক্রিকা বৃদ্ধি হওয়ার মতো জায়গা পায় না ফলে ঘাটতি দেখা দেয়। ক্যান্সার সেল অস্থিমজ্জার ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। ফলে হৃন্ডির ভিতর প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয় না, ব্ল্যাড ক্যান্সার কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়।
ব্ল্যাড ক্যান্সারের কারণ গুলো কিকি
অনিরাপদ খাদ্যঃ- বর্তমান সময়ে প্যাকেট জাত খাবার, আকর্ষণীয় সুন্দর দেখাতে নানা ধরনের রং বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় এমন খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবারঃ- অনেক সময়ই আমরা প্যাকেটজাত খাবার ফ্রিজে রেখে দিই এবং মেয়াদ আছে কিনা আমরা খেয়াল করি না। এই ধরণের খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
ফরমালিনের ব্যবহারঃ- কোন কিছু দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হয় কিন্তুু মর্তমান সময়ে কিছু কিছু জিনিস অনেক দিন সংরক্ষণ করার জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। তার ফলে খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ফরমালিন ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ- কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
বংশগত কারণঃ- কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণে অনেকের শরীরে ক্যান্সার হয়ে থাকে।
জীবনযাত্রার অনিয়মঃ- কেউ যদি সময় মতো না খায়, পরিমাণ মতো না ঘুমায়, অনিয়মের মধ্যে চলে। তবে তার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্ল্যাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
সুষম ও নিরাপদ খাবার গ্রহণ করাঃ- আমাদের অনিরাপদ খাবার যেমনঃ- প্যাকেটজাত খাবার, রং মেশানো খাবার, অনেকদিন ধরে প্রক্রিয়াজাত মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
সবুজ শাকসবজি খাওয়াঃ- আমাদের সবসময় সবুজ শাকসবজি খাওয়ার প্রতি আপনাকে যন্তশীল হতে হবে।
পরিমিত ঘুমঃ- আমাদের সব সময়ই সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে। পরিমিত ঘুম আমাদের শরীরে খুবই জরুরি।
শারীরিক ব্যায়ামঃ- আপনাকে ঘরে বসে কিছু কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
ক্যান্সারের অনেক কারণ বোঝাও যায় না, তাই শরীরের যেকোনো অসুস্থতাকেই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। বিশেষ করে ৩০ থেকে ৪০ বছর পেরিয়ে গেলে অবশ্যই প্রতি বছর আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন