বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম। কন্টেন্ট লিখে টাকা ইনকাম করার উপায়

কন্টেন্ট রাইটিং টিপস - যদি ব্লগিং করে ব্লগ থেকে টাকা আয় করার কথা  ভাবছেন, তাহলে সঠিক ভাবে আর্টিকেল লেখার কৌশল আপনার জানা থাকতে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে মার্কেটিং এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একটা ওয়েবসাইটের প্রাণ হলো ভিজিটর। আপনারদের মধ্যে অনেক আছেন যারা মনেকরেন যে, আর্টিকেল লিখা মানে হচ্ছে শুধুমাত্র ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা। 


কিন্তুু আপনাদের ধারনা ভুল, আপনারা ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট লিখেন সেটাও কিন্তুু এই আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং কাজের মধ্যে পড়ে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটর না থাকে সেই ওয়েবসাইট ঘরে পড়ে থাকা ব্যক্তিগত ডায়রির সাথে তুলনা করা যায়। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন উপায়ে মার্কেটিং করে ভিজিটর বাড়ানো যায়।  কিন্তুু আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো  মানের এবং তথ্য পূর্ণ কন্টেন্ট থাকে তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চইঞ্জিন প্রথমে নিয়ে আসবে। সে হিসাবে তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইটের বড় সম্পদ। আর আপনি হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল ব্লগিং  করে টাকা ইনকাম করার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

আরো পড়ুনঃ RAM কি । RAM কিভাবে কাজ করে । RAM এর প্রকারভেদ 

আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য কিছু  নিয়ম কানুন এবং কিছু  কৌশল রয়েছে। বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম কিংবা কন্টেন্ট লিখার নিয়ম জানা থাকলে আপনারা খুবই সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি পরিমাণের অর্গানিক ভিজিটর পাবেন। তাই আজকে আর্টিকেলে আমরা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা ভালো মানের তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল লেখার সকল নিয়ম সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ

কন্টেন্ট রাইটিং কি

কন্টেন্ট তৈরির অন্যতম প্রক্রিয়া হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। আমরা অনলাইনে যেকোনো ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ইমেজ, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি পড়ি ও দেখি এবং শুনে থাকি মূলত এগুলোই হলো কন্টেন্ট। ওয়েবসাইটের যেকোনো টেক্সটকে বলা হয়ে থাকে টেক্সট কন্টেন্ট এবং যে ওয়েবসাইটে যে অডিও গুলো শুনে থাকি সেগুলো  হচ্ছে অডিও কন্টেন্ট। আমরা ওয়েবসাইটে যেসকল ভিডিও দেখে থাকি সেগুলোকে বলা হয় ভিডিও  কন্টেন্ট।  আমরা সাধারণভাবে বলতে পারি, বাংলায় কোনো বিষয়ে লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করাকে বলা হয় বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কিংবা বাংলা আর্টিকেল রাইটিং। 

আর্টিকেল রাইটিং কেন প্রয়োজন

আপনি যদি ভালো কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনারা সহজেই সম্ভাব্য  টাগের্ট অডিয়েন্সের নজর সহজে কাড়তে পারবেন, ভালো  কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি সেলসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারবেন, আপনি চাইলে সম্ভাব্য টার্গেট অডিয়েন্সের আস্থা অর্জন করতে পারবেন, ভালো মানের কন্টেন্ট  লিখে আপনি পুরাতন কাস্টমারদের আস্থা ধরে রাখতে পারবেন।

আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং এই একদম নতুন হয়ে থাকেন তবে নিচে উল্লেখ্য  করা বিষয় গুলো অনুসরণ  করার মাধ্যমে একজন ভালোমানের আর্টিকেল রাইটার হতে পারবেন। তাহলে চলুন  জেনে নেই আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে। 

ইনফর্মেটিভ এবং আই ক্যাচি টাইটেল

কোনো কন্টেন্টের ভিতরের অংশে কি কি আছে তা সুন্দর একটা টাইটেল দেখে প্রকাশ পায়। কোনো আর্টিকেলের টাইটেল যতবেশি সুন্দর এবং আর্কষণীয় হবে, ভিজিটরদের দৃষ্টি ততবেশি আর্কষিত হবে। কারণ কন্টেন্টর টাইটেল ভালো না হলে সেই পোস্টে ক্লিক কম পরার সম্ভাবনা বেশি  থাকে। আপনার কন্টেন্টের টাইটেল ভালো না হলে গুগল এবং অন্যান্য সার্চইঞ্জিন গুলোতে র‍্যাংক করবেনা। তাই আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল  র‍্যাংক করার জন্য এবং বেশি বেশি ক্লিক পাওয়ার জন্য প্রথমে ভালো একটা টাইটেল নির্বাচন করতে হবে।  একজন পাঠকের চোখে সর্বপ্রথমেই যেটা পরে সেটা হচ্ছে টাইটেল।

কিওয়ার্ড রিচার্জ- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

আপনি একটি কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখবেন। আপনি সর্বপ্রথম আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালো কিওয়ার্ড রিচার্জ করতে হবে। সেই কিওয়ার্ড ধরে আপনাকে ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখতে হবে।

স্ক্রিনশ্ট নেওয়ার নিয়ম - বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং  টিপস

আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লিখতে চান বা ফ্রিল্যান্সিং হলে আপনি প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম জানতেই হবে। আপনি যখন স্ক্রিনশট পিকচার নিবেন তখন আপনি দেখবেন যেন অতিরিক্ত অংশ যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি ছবিতে কোন অপ্রয়োজনীয় অংশ থাকে তা কেটে ফেলতে হবে।

আর্টিকেল অনুযায়ী ইমেজ ব্যবহার করুন

একটি আর্টিকেলকে অধিক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইমেজ ব্যবহার করুন। এতে করে যেমন আপনার আর্টিকেলটি দেখতে সুন্দর লাগবে তেমনি আপনার কথা কিংবা আপনি আসলে কি বোঝাতে বা ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছেন সেটা আরো ভালোভাবে ফুটে উঠবে। আপনি যদি সুন্দর একটা ফিচার ইমেজ আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার আর্টিকেলে প্রতি কিন্তুু ক্লিকও বেশি বেশি হবে।

ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত করা- বাংলা আর্টিকেল লেখার  নিয়ম

বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং করার সময় অনেকেই অনলাইন থেকে ছবি ডাউনলোড করে আর্টিকেলের মধ্যে আপলোড করে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন তারা ছবি ডাউনলোড না করে ছবির সোর্স পোস্টর মধ্যে লিংক  করে থাকেন। আপনারা এই কাজটি মোটেও করবেন না। সোর্স ওয়েবসাইটের মালিক  যদি ছবি ডিলেট করে দিলে আপনার ওয়েবসাইটে আর ছবি দেখা যাবে না।

ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন - বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

আপনি প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য অবশ্যই অবশ্যই ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। একটা পোস্টের জন্য ভালোমানের আর্টিকেলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা। আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কোনো আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিবেন।

Creative commons licenses ব্যবহার 9করে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

আর্টিকেল লেখার অন্যতম মাধ্যম হলে কপিরাইট যুক্ত কোন ছবি ডাউনলোড করে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে আপলোড করা যাবে না। আপনার পোস্টে যদি ছবি আপলোড করতে চান আপনি Creative commons licenses ছবি ব্যবহার করবেন।

লাইন গ্যাপ করে বাংলা  আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

বাংলা আর্টিকেল লেখার আর একটি অন্যতম মাধ্যম হলো লাইন গ্যাপ করে আর্টিকেল লেখার নিয়ম। শুদ্ধ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম  হলো সর্বোচ্চ এক লাইন গ্যাপ ব্যবহার করে আর্টিকেল লেখা।

পোস্ট ফরম্যাটিং- কন্টেন্ট লিখে  টাকা ইনকাম করার উপায় 

কন্টেন্ট রাইটিং লেখার নিয়ম হলো সুন্দর করে আর্টিকেল ফরম্যাটিং করা আপনি পুরো আর্টিকেল লিখার এলাইনমেন্ট, জাস্টিফাই ও আর্টিকেলের মধ্যে ছবির এলাইনমেন্ট সেন্টার ব্যবহার করা উচিত। 

সহজ ভাষায় আর্টিকেল  লিখা

অতিরিক্ত লম্বা বাক্য বা জটিল শব্দ ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখবেন না। জটিল শব্দ ব্যবহার করলে যেকোনো আর্টিকেল কঠিন  করে তোলে। ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এই ধরণের আর্টিকেল টার্গেট অডিয়েন্সের বিরক্তি বৃদ্ধি করে মাত্র। তাই আপনি আর্টিকেল লেখার সময় সহজ বাক্য দিয়ে সুন্দর শব্দ ব্যবহার করে আপনি আর্টিকেল লিখবেন। তাহলে পাঠকেরা আপনার আর্টিকেল পড়ে খুব মজা পাবেন।

পোস্ট সূচিপত্র - কন্টেন্ট রাইটিং টিপস 

বাংলা আর্টিকেল লেখার অন্যতম মাধ্যম হলো পোস্ট সূচিপত্র তৈরি  করা। কারণ শুরুতে কোনো পাঠক সূচিপত্র দেখে তাহলে পাঠক বুঝতে পারবে পোস্টের মধ্যে তার কোন প্যারা প্রয়োজন। আপনি যদি পোস্টে সূচিপত্র  রাখেন পাঠকের জন্য সুবিধা। 

আরো পড়ুন সেকশন- আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইট 

আপনি যে সাইটে পোস্ট লিখেছেন সেই সাইটের প্রতিটা পোস্টের মধ্যে আপনি এভাবে উক্ত সাইটের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক লিংক যুক্ত  করে দিবেন। তাহলে পাঠক আপনার সাইটে একটা পোস্ট পড়তে এসে আরেকটি পোস্ট পড়তে পারবে।

ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে রাখা

আপনারা অনেকে ওয়েবসাইটে আর্টিকেল না লিখে অন্য জায়গা আর্টিকেল লিখে রাখে তারপর ওয়েবসাইটে পেস্ট করেন। আপনারা মোবাইলের নোটপ্যাডে লিখে  রাখেন আবার কেউবা কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে রাখেন। পরবর্তীতে সেই আর্টিকেল কপি করে পেস্ট করেন।

আরো পড়ুনঃ স্মার্টফোনের লক ভুলে যাওয়ার পর আপনার করণীয় 

এভাবেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত প্রোগ্রামে পোস্ট লিখে সেভ করে রাখলে পরবর্তীতে কপি করার সময় সেখানকার প্রিফরম্যাটও কপি হয়ে যায়। আবার অনেক সময় আপনার ওয়েবসাইটের লিখার ফন্ট ছোট বড় জনিত সমস্যা পড়ে যায়। আবার বিভিন্ন  ফরম্যাটিং দেখা দেয়।

নতুন আর্টিকেলের ইমেল নোটিফিকেশন

আপনার ওয়েব সাইটে নতুন আর্টিকেল প্রকাশের পর ইমেল নোর্টিফিকেশন সেন্ড করার ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে পাঠকরা নতুন পোস্টের এলার্ট সহজেই পেয়ে যায়। আমার ওয়েব সাইটে এই ব্যবস্থা করা আছে। 

সাবহেডিং ট্যাগ-হাডিং ট্যাগের ব্যবহার

আর্টিকেলের পর্যাপ্ত এবং যেখানে যেখানে লাগে হেডিং, সাবহেডিং এসম ব্যবহার করবেন। এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটে যেখানে যেখানে সম্ভব বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করার ট্রাই করবেন। এতে আপনার আর্টিকেলে রিড্যাবিলিটি বাড়বে। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরা সহজে আপনার পোস্টের আর্টিকেল পড়তে পারবে।

আর্টিকেলের ভূমিকা

আর্টিকেল লেখর সময় আপনাকে প্রথমে কিছু অংশ সংক্ষেপে লিখতে হবে। এটা মূলত আপনাকে পাঠকদের বুঝাতে হবে । আপনার আর্টিকেলে কিকি থাকবে। আপনার আর্টিকেলটি কেন পড়বে, এখান থেকে তারা কি কি শিখতে পারবে এবং কি কি জানতে পারবে আপনার আর্টিকেল থেকে তার একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিতে চেষ্টা করবেন।

প্যারাগ্রাপ শিরণাম- কন্টেন্ট  রাইটিং টিপস 

আর্টিকেলে কোনো প্যারাগ্রাফ  খুব বড় করা যাবেনা। পাঠকেরা বড় টেক্সট পড়তে বিরক্তবোধ করে তাই আপনি ছোট প্যারা করে লিখবেন। এভাবে লিখলে পাঠকেরা পড়তে মজা পাই। যদি আপনার আর্টিকেল বড় হয় তাহলে আপনি ২ বা ৩ প্যারা করে লিখবেন। 

সকাল বেলা আর্টিকেল লেখার জন্য ভালো সময়

একটা রিসেন্ট স্টাডিতে দেখা গিয়েছে,  যারা প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার তারা সকালে আর্টিকেল লিখে থাকেন। কেননা একটা ফ্রেস ঘুমের পরে সকাল বেলাতে ব্রেন ঠান্ডা হয়ে থাকে, মন মেজাজ চাংগা থাকে, যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি আর্টিকেল রাইটিং এই ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। আপনিও সকাল বেলা আর্টিকেল লিখতে পারেন।

সময় নিয়ে কাজ করুন 

আপনার আর্টিকেলটি যদি একবসায় শেষ করতে না পারেন তাহলে চিন্তা করার কোনো কারন নাই। আপনি কিছু ক্ষণ বাহিরে গিয়ে ঘুরাফিরা করে আসেন। তারপর পুনরায় বসে আবার আর্টিকেল লিখেন। আপনি মনে রাখবেন সময়ের চাপ নিয়ে  কখনো কোয়ালিটি ফুল আর্টিকেল লিখতে পারবেন না।

আর্টিকেল রিসার্চ করুন

ভালোমানের আর্টিকেল রাইটার হওয়ার জন্য আপনাকে অনেক রিসার্চ করতে হবে। যদি আপনার বেশি পরিমাণের রিসার্চ করার মানসিকতা না থাকে তাহলে কখনোই একটা ভালোমানের ইনফর্মেটিভ কন্টেন্ট লিখতে পারবেন না। আমি আপনাকে আর্টিকেল রিসার্চ করার কথা বলতে বোঝাতে চাচ্ছি, আপনি যে টপিকটা নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন সে টপিকটা নিয়ে ভালো ভাবে রিসার্চ করে সেই বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিন।এরপর আপনি নির্বাচন করা পর ওই টপিকের উপরে একটা সম্পূর্ণ ইনফর্মেশনে ভরা কন্টেন্ট লিখুন। এতে করে আপনার আর্টিকেল পাঠকেরা পড়ে মজা পাবে।

১০০% ইউনিক আর্টিকেল লিখুন-বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

আপনার আর্টিকেলটি যত সম্ভব ১০০% ইউনিক করে লিখা। কোনো ভাবে কপি পেস্ট করবেন না।  যদি আপনি আর্টিকেল কপি করেন তাহলে আপনার সাইটি র‍্যাংক করবে না। এছাড়া যদি আপনার সাইটের আর্টিকেলের প্ল্যাগারিজম থাকে তবে সেটা সার্চইঞ্জিনে র‍্যাংক করার তো দূরের কথা, বরং সেটা রাখার কারণে আপনার সাইটের আরো বেশি বেশি ক্ষতি হবে। তাই আপনি আপনার সাইটের জন্য অরিজিনলাল আর্টিকেল লিখবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং কত শব্দের প্রয়োজন

আপনি যদি কোনো আর্টিকেল লিখেন তাহলে তা ডিটেল লেখার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি ডিটেল লিখেন পাঠকেরা পড়ে মজা পাবে। তবে আপনার সাইটের জন্য ৬০০ শব্দের কন্টেন্ট লিখলে ভালো হয়। আপনার সাইটে ৬০০ শব্দের নিচে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন না। তবে আপনি মনে রাখবেন বড় করে আর্টিকেল লিখলে অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু  লিখবেন না। তথ্যপূর্ণ কোয়ালিটি ফুল কন্টেন্ট লিখবেন।

আর্টিকেলের ব্যাকরণ বা বানান দেখুন

আপনার সাইটে আর্টিকেল লেখার পর আর্টিকেল বার বার পড়বেন যেন আর্টিকেল লেখার সময় ব্যাকরণ বা বানান ঠিক আছে কিনা।

আর্টিকেলে অ্যাট্রাক্টিভ ডাউনলোড লিংক যুক্ত করা

আপনি বিভিন্ন আর্টিকেলে দেখবেন অন্য পেইজের লিংক বা ডাউনলোড লিংক ইমেজ বা বাটনের মত দেখায় যা দেখতে খুবই সুন্দর ও মাননসই। আপনিও এভাবেই ডাউনলোড লিংক যুক্ত করবেন।

আর্টিকেল লেখার সময় আমি, আপনি শব্দের ব্যবহার

আপনি যখন কোন পোস্ট লিখবেন তখন আমি, আপনি একধরনের শব্দের ব্যবহার করবেন। যাতে করে অডিয়েন্সরা মনেকরে আপনি  তাদের সাথে কথা বলছেন আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে এটি একটি সেরা টিপস।

আমি পরিশেষে বলব

আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আপনারা উপরের বিষয়গুলো অনুসরণ  করার মাধ্যমে আপনারা প্রফেশনালমানের আর্টিকেল লিখতে পারেন। আপনাদের মতে আমি যদি কিছু মিস করি থাকি তাহলে আপনারা কমেন্ট করবেন।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url